সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেশের জনপ্রিয় এবং অভিজ্ঞ কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে।
সহকারী কোচ হিসেবে সালাহউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ায় মুগ্ধ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত কয়েক বছরে একাধিকবার প্রধান কোচ পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০১৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জের ধরে বিদায় করা হয় স্টিভ রোডসকে। এরপর রাসেল ডমিঙ্গোকে এনেও আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থতার কারণে বাদ দিয়ে আবারও ফেরানো হয় হাথুরুসিংহেকে। দ্বিতীয় দফাও সুখকর হয়নি হাথুরুসিংহের।
সাবেক তারকা ক্রিকেটার বুলবুল বলেছেন, আমি কোচ পরিবর্তন করার পক্ষে না। কেননা কোচ পরিবর্তন করা মানে একজন ডাক্তার পরিবর্তন করা। একটা কোচ তার প্লেয়ারদের শুধু স্কিল নিয়ে কাজ করে না। প্লেয়ারদের সাইকোলজি নিয়েও কাজ করে। ঘনঘন কোচ পরিবর্তন একটা দলের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর ব্যাপার। এখানে পারফরম্যান্সের একটা বড় ঘাটতি হয়।
তিনি আরও বলেছেন, জাতীয় দলে যারা কোচ হয় তারা কিন্তু স্কিল শেখায় না, ট্যাকটিস শেখায় না। তারা কাজ করে মানসিক অবস্থা নিয়ে। এখানে ভাষা একটা বড় ব্যাপার, সংস্কৃতি একটা বড় ব্যাপার। আর যদি নতুন কোচ বারবার পরিবর্তন হতে থাকে এতে কোনো উপকার হয় না, অপকারই হয়।
আরব আমিরাতের শারজাহতে গতকাল বাংলাদেশের ম্যাচের পর তিনি আরও বলেন, সালাহউদ্দিন এর আগেও সহকারী কোচ ছিল। সালাহউদ্দিনের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে খুবই সফল কোচ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সে বাংলায় কথা বলে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানে। উপমহাদেশে কোচিংয়ের তিনটা ভাষা ব্যবহার করা যায়। একটা হচ্ছে তুই, একটা তুমি এবং একটা আপনি।
তিনি আরও বলেছেন, সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সম্পর্ক হচ্ছে ‘তুই’। এটা একটা বড় সুবিধা, এটাতে কাছের করে নেওয়া যায়। সালাহউদ্দিনের অভিজ্ঞতা, ওর মান প্লেয়ারদের সাইকোলিজি বোঝা- সবমিলিয়ে সে দারুণ চয়েস।
সূত্র: যুগান্তর