রবিবার ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

NBIU Spiring 2025 New Ad

‘সমবায়ের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না’

Paris
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সমবায়ের সঙ্গে যারা আছেন তারা শুধু কমিটি আর দায়িত্ব আসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। কিন্তু সমবায়ের কল্যাণে কোনো কাজ হচ্ছে না। সমবায় দাঁড়াতে পারছে না এর মূল কারণ হচ্ছে সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মনমানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়। কিন্তু সমবায়ের কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই। আমি অবাক হয়েছি সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে।
তিনি আরো বলেন,জানতে পারলাম সমবায়ের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বার্ডের ময়নামতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন চলবে দুই দিনব্যাপী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নে বার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বার্ডের পরীক্ষামূলক প্রকল্পগুলো সমগ্র বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমান এলজিইডি, উপজেলা কমপ্লেক্স, বিআরডিবি বার্ডের সফল কর্মসূচির ফসল।

তিনি আরো বলেন, বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ড. আখতার হামিদ খানের দর্শন ছিলো সমবায়, গ্রামীণ উন্নয়ন, গ্রামীণ মানুষের আর্থিক উন্নয়ন। এগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আবার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ে দেখি এগুলো নিয়ে কোথায় যেন স্থবিরতা বিরাজ করছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক, বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ।

নীতি নির্ধারনী পেপার উপস্থাপনায় বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ বার্ডের বর্তমান কার্যক্রম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অতীতের মত বার্ড পল্লীর জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন

খুলে ফেলা হলো ‘আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধার’ বাড়ির নামফলক

পরিকল্পনা সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও মধ্য পর্যায়ের ১১০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


আরোও দেখুন
Paris