সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি ঝড়ের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস এবং গাছপালা উপড়ে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে।
রোববার রাজধানী কলম্বোর কাছে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ কয়েকজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) বলেছে, ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যা ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণসহ আরও কয়েকজন ধসে যাওয়া মাটির নিচে জীবন্ত চাপা পড়েছেন।
ডিএমসি বলছে, গত ২১ মে মৌসুমী ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে সাতটি জেলায় গাছ পড়ে আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা সেচের পাশাপাশি জলবিদ্যুতের জন্য মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে। দেশটির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘন ঘন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
ডিএমসি বলেছে, দেশের ২৫টি জেলার মধ্যে অন্তত ২০টি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষকে উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলম্বোর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমানের সব ফ্লাইট অন্য একটি ছোট বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্যায় বিমানবন্দরমুখী কয়েকটি প্রধান মহাসড়ক ও প্রস্থানের সড়ক তলিয়ে গেছে।
দেশটিতে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা। যে কারণে চলতি সপ্তাহের ছুটির পর সোমবার থেকে দেশের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ডিএমসি বলেছে, ‘‘প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাতসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে।’’
গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ অন্তত সাতটি ছোট হাতির মৃতদেহ খুঁজে পায়। দেশটিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে একসঙ্গে এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হাতির প্রাণহানির ঘটনা।