রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শেখ হাসিনা সাইকো ছিলেন : মামুনুল

Paris
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সাইকোপ্যাথ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, একজন মানষিক রোগী ছিলে তিনি। শেখ হাসিনা দুইটি ভিশন নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছেন, একটি হচ্ছে তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ ও অন্যটি হচ্ছে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। যার প্রমাণ, তিনি প্রায় বক্তব্যে বলতেন যেদিন আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন কথায় ছিল আওয়ামী লীগ।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর শহরের ইনস্টিটিউটে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ধরে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তাই যেকোনো মূল্যে বিএনপিসহ ইসলামী দলগুলোকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে করে কিয়ামত পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।

নতুন স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না, সেই নেতারা, এখন কিভাবে মুখ দেখাবেন। আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। কারণ তারা জেনে বুঝে শেখ হাসিনার মত একজন সাইকোপ্যাথ মহিলাকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহযোগীতা করেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিন তেকে পালিয়ে তার (শেখ হাসিনা) পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। শেখ হাসিনা মানসিক বিকারগ্রস্থ। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন এই কারণে যে একজন মানসিক রোগীকে এত বছর তাদের কাঁধের ওপর রেখে দিয়েছিলেন। দেশের কোনো প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালায়নি। এরশাদ জেল খেটেছেন, বেগম জিয়া অসুস্থ্য অবস্থায় কারাগারে ছিলেন।

কিন্তু নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে যাননি। এখন তো আর কেউ আওয়ামী লীগ করে না।
যেসব আওয়ামী লীগ নেতা দেশ নিয়ে চিন্তা করতেন, বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন তাদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর এই দেশে হবে না। নতুন নামে আসেন রাজনীতি করেন, সমতার ভিক্তিতে বিবেচনা করা হবে।

তিনি বলেন, দেশ রক্ষায় বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতসহ সব ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইসলামী শাসন করবে। সব ধর্ম, বর্ণের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।

দেশে বিডিআর বিদ্রোহসহ, হেফাজতের ওপর হামলা, জুলাই গণহত্যার বিচার করা হবে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। কারণ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায়।

গণসমাবেশে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা মানসিক বিকারগ্রস্থ। আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন এই কারণে যে একজন মানসিক রোগীকে এত বছর তাদের কাঁধের ওপর রেখে দিয়েছিল। মেগাপ্রকল্পের নামে মেগাদুর্নীতি করেছে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিনে এক ইঞ্চি মাটি আশ্রয়ের জন্য খুঁজে পাননি। তাই তার (শেখ হাসিনা) পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর মুখে অভিন্ন বাঁধ তৈরি করেছে ভারত। শুকনা মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষা মৌসুমে বানের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে তারা। আপনাদের কেনা গোলাম শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন মোদি। এখন বলব, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। বাংলাদেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সমতার ভিত্তিতে সদাচরণ পাবেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রেজাইল করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল আহমদসহ জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - রাজনীতি