মঙ্গলবার , ৯ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শীতে কাঁপছে শিবগঞ্জ, বেকায়দায় খেটে খাওয়া মানুষ

Paris
জানুয়ারি ৯, ২০১৮ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে মানুষ। তাপমাত্রার আরও অবনতি হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।

খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বেকায়দায়।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগের দিনের চেয়ে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর সূর্যের আংশিক দেখা মিলেছে। তবে তাতে ছিল না তাপের প্রখরতা। সূর্যের অনুপস্থিতিতে শীত অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি। এতে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে মানুষ। কয়েকজন স্কুল শিক্ষক জানিয়েছেন, তীব্র শীতের কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শীতের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিরা, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ। উপজেলার গ্রামাঞ্চলে শীত জেঁকে বসার কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা খড়কুটা জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে। গৃহপালিত পশু-পাখি, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের খেটে খাওয়া লোকজন।

এদিকে, শিবগঞ্জ পৌর বাজারসহ সবগুলো বাজার ও ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকানিরা দামও নিচ্ছেন বেশি। গেল কয়েক সপ্তাহ থেকেই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শিবগঞ্জে শীতবস্ত্র, কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যেই দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ৬ হাজার কম্বল পুরো উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেছেন। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও শীতার্তরা।

কালুপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কালু আলী বলেন, পুরো উত্তরপাড়া শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কেউ শীতবস্ত্র নিয়ে যাননি। এ অবস্থায় অনেকেই তীব্র শীতে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় মাঠের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। এখন এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঠে রয়েছে আলু, গম, বোরোর বীজতলা, মশুর, সরিষা, পান ও সবজি আবাদ। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিভিন্ন ফসলে ইতোমধ্যে রোগ-বালাই দেখা দিতে শুরু করেছে। মাঠের ফসল রক্ষায় চাষিরা বিভিন্ন বালাই নাশক ব্যবহার করছেন। কনকনে ঠাণ্ডায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ইরি-বোরোর আবাদ করতে কৃষাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম থাকায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কম বলে জানান কৃষিবিদরা।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিবিদরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান,  তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে চাষাবাদ করতে পারছে না কৃষকেরা। অবহাওয়া পেক্ষিতে পরিস্থিতিতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হবে।

স/অ

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর