শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে: ডা. শাহাদাত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই গুলি করে যুবদলকর্মী শাওনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্ববায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। যুবদল নেতা শাওন হত্যার প্রতিবাদে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, ‘শাওন যুবদলের প্রমাণিত ও পরীক্ষিত একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণের অনেক ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তিনি যুবদলের কর্মী নয় বলে নানা মহলে এখন মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। নিহত শাওনকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। অবিলম্বে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

পরে বাদ আসর দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে তারেক রহমানের ১৫তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা কখনো সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করি না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা আমাদের শত্রু নন। আপনারা এ দেশের সন্তান। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা আপনাদেরও দায়িত্ব। আমরা অনুরোধ করবো আপনারা অন্যায় কোনো হুকুম মানবেন না। এ হত্যার জন্য একদিন না একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘শাওন হত্যার কয়েক দিন আগে ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম খুন হয়। বর্তমানে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শাওনের এ আত্মত্যাগ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক প্রমুখ।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ