সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাফওয়ান আখতার সদ্যর পরিবারের সদস্যরা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যতের আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে।
তাদের মর্যাদা দিতে হবে। শত বছর পরেও যেন এই বিপ্লবের বীরদের কথা স্মরণ করে সমাজ বিপ্লবের অনুপ্রেরণা পায়।
সাক্ষাৎকালে শহীদ সাফওয়ানের বাবা ড. মো. আখতারুজ্জামান লিটন ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সাফওয়ানের বাবাকে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেন।
শহীদ সাফওয়ানের বাবাকে সব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাফওয়ান দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। তার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। আন্দোলনের শহীদদের কথা সামনে রেখেই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সব শহীদ এবং আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শহীদদের স্মৃতিগুলো একত্রিত করার ভাবনা আমাদের আছে।’
সাফওয়ানের বাবা ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে দেশ হয়েছে সেটা যেন নতুন বাংলাদেশ হয়। আমাদের যেন পেছনে ফিরে যেতে না হয়। আমার ছেলের মতো কেউ যেন পুলিশের গুলিতে শহীদ না হয়।
সাক্ষাৎকালে শহীদ সাফওয়ানের মা ও বোন উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাফওয়ান আখতার সদ্য ৫ আগস্ট সাভার থানার কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ