নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার চারজন মেয়রপ্রার্থী অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত একমাত্র হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। অন্য তিন প্রার্থী এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণামূলক কাজে নামতে পারেননি। সেখানে মেয়র লিটন প্রায় ৬০টি মতবিনিময় সভা করেছেন। এর বাইরে নগর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে দলটির সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন লিটনের পক্ষে। এর বাইরে গত ৫ বছরে লিটনের উন্নয়নকেও এ নির্বাচনে এগিয়ে রেখেছে তাঁকে। পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অন্য তিন প্রার্থীরও তেমন জনপ্রিয়তা না থাকায় কেউ লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারছেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এই তিন প্রার্থী হলেন ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির আনোয়ার লতিফ। তাঁদের তিনজনের মধ্যে কে লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসবেন, এটিও নিশ্চিত করতে পারছেন না সাধারণ ভোটাররা।
সচেতন নাগরিক কমিটির রাজশাহী জেলা সভাপতি আহমেদ শফি উদ্দিন বলেন, ‘একটা মানুষ কাজ করতে গেলে নানা ভুল হবেই। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এ নগরীর উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। সেদিক বিবেচনা করে আমি বলবো এবার মেয়র লিটন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী নগরবাসীর কাছে।’
তিনি বলেন, ‘আগের সবকটি নির্বাচন দেখার সৌভাগ্যে হয়েছে আমার। এতো আগে-ভাগেই কোনো নির্বাচনে মেয়র পদে কে জিতবেন সেটি বলা যেত না। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এর আগের মেয়ররা। তবে এবার মনে হচ্ছে, নির্বাচন এক তরফা হবে। বর্তমান মেয়রের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। মাঝে যে কয়দিন সময়, তাতে লিটনের পাল্লা আরও ভারি হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় রাজশাহীতে লিটনের বিকল্প কেউ নাই। এর পরও লিটনকে এবার খুব সচেতন মনে হচ্ছে। আট-ঘাট মেরেই মাঠে নেমেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সবমিলিয়ে আগামীর রাজশাহী গড়ার স্বপ্ন আবারও দেখছেন লিটন। তার সঙ্গে অন্য তিন প্রার্থীর তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে হয় না।’
জানতে চাইলে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নির্বাচনে যেকেউ আসতে পারে। আমি কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখতে চাই না। তাই আমি আমার মতো করে এগিয়ে যাচ্ছি। সবার সঙ্গে মতবিনিময় করে যাচ্ছি। আশা করি আগামীর রাজশাহীকে আরও সুন্দরভাবে গড়তে এবং আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে এগুলো কাজে দিবে এবং এবার আমি নির্বাচনে জয়ী হবো।’
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছে চারটি দল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও কেন্দ্রীয় সভাপতিমÐলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির মহানগরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মুরশিদ আলম ফারুকী ও জাকের পার্টি থেকে অংশ নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার সুপ্ত। তাঁদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে শুধুমাত্র নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম স্বপন। এর বাইরে আর কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। আর অপর দুই প্রার্থী মুরশিদ আলম ও লতিফ আনোয়ারকেউ কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
স/আর