নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম। ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভরাডুরি কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই তারা নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে আসছিল। নির্বাচনে আসা না আসা তাদের বিষয়। তবে বিএনপি বলছে, নির্বাচনে হতে দেওয়া হবে না। ‘নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’- এই কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে আসলে আমরা কী বসে থাকবে না। রাজপথেই তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সোমবার (০১ জানুয়ারি) বিকেলে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ পারে মানুষের কল্যান করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে বির্নিমাণের স্বপ্ন দেখছি। মানবততার মা হয়ে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই দেশকে কেউ ধ্বংস করবে-সেটি কোনদিন হবে না।
তিনি আরো বলেন , আপনারা অনেক ভাগ্যবান। তৃণমূল থেকে ওঠে আসা একজন রাজনীতিদিব আপনাদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করেছেন, মনোনয়ন দিয়েছেন। বাকিটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। সামনে আসছে শুভদিন, ৭ জানুয়ারি সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় দিলে ভোট উন্নয়ন পাবে ও শান্তি থাকবে দেশের লোক।
রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সেই এক কোটির মধ্যে পবা-মোহনপুরের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কৃষি প্রধান অঞ্চল পবা-মোহনপুরে উন্নয়নে ও মানুষের কল্যানে পাশে থাকবো।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই নৌকা শুধু আওয়ামী লীগের নৌকা নয়। এই নৌকা মানুষের অধিকার আদায়ের নৌকা, এই নৌকা গ্রাম বাংলার কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ের নৌকা, এই নৌকা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নৌকা, এই নৌকা ৭১-র রণাঙ্গনে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার নৌকা, এই নৌকা গৃহহীন মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ দরবার পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের নৌকা। লড়াই আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীকের নাম নৌকা। আজকের এই উৎসাহ উদ্দীপনা ধরে রেখে আগামী ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার উপস্থিতিতে পবা-মোহনপুরবাসী নৌকাকে বিজয়ী করবে সেই প্রত্যাশা করি। আমি যদি বিজয়ী হই, খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের হাত ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়নকে বাস্তবায়িত করতে চাই। যেই খায়রুজ্জামান লিটন ভাই রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাশীল শহরে পরিণত করেছে, সেই শহরের সঙ্গে কেন সৌন্দর্যমণ্ডিত, উন্নয়নশীল, কর্মমুখর পবা-মোহনপুর হবে না? লিটন ভাই যেখানে আছেন, সেই কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান।
ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী আজম সেন্টু, রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসরিন আকতার মিতা, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।