সোমবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাসুল (সা.) যাদের জন্য সম্পদের দোয়া করেছেন

Paris
অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ইসলামের দৃষ্টিতে কিছু মানুষের জন্য সম্পদ কল্যাণকর। বিশেষভাবে যারা সম্পদ আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক উপার্জন করে এবং ব্যয় করে, তাদের জন্য সম্পদ অত্যন্ত কল্যাণকর বস্তু। হাদিসে এসেছে, আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, নবী (সা.) লোক মারফত আমাকে নির্দেশ দেন যে আমি যেন পোশাকে ও অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হই। আমি তা-ই করলাম।

আমি যখন তাঁর কাছে এসে উপস্থিত হলাম, তখন তিনি অজু করছিলেন। তিনি আমার দিকে গভীরভাবে দেখলেন, তারপর দৃষ্টি অবনত করে বলেন, হে আমর! আমি তোমাকে একটি বাহিনীর সেনাপতি নিয়োগ করে পাঠাতে চাচ্ছি, যাতে আল্লাহ তোমাকে গনিমতের অধিকারী করেন। আমি তোমার জন্য উত্কৃষ্ট সম্পদ প্রত্যাশা করি। আমি বললাম, আমি সম্পদের লোভে ইসলাম গ্রহণ করিনি।

আমি ইসলামের আকর্ষণে মুসলিম হয়েছি, যাতে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে থাকতে পারি। তিনি বলেন, হে আমর! হ্যাঁ, উত্তম লোকের জন্যই উত্তম সম্পদ। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৯৯)
দ্বিনের জন্য, দেশের জন্য যার সম্পদ ব্যয় হয়, তার জন্য সম্পদ কল্যাণকর। তার হাত উত্তম হাত।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওপরের হাত (দাতার হাত) নিচের হাত (গ্রহীতার হাত) থেকে উত্তম। প্রথমে তাদের দেবে, যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তুমি বহন করো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে দান করা উত্তম। যে ব্যক্তি (পাপ ও ভিক্ষা করা থেকে) পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন এবং যে পরমুখাপেক্ষিতা থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে স্বাবলম্বী করে দেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪২৭)
যার ভেতর ঈমান ও আমল আছে, আছে আল্লাহর ভয়, তার হাতে সম্পদ খুবই সুন্দর।

তাই তো রাসুলুল্লাহ (সা.) কারো কারো সম্পদ ও সন্তান বৃদ্ধির জন্য দোয়া করেছেন। আনাস (রা.) বলেন, ‘একদিন উম্মু সুলায়ম (রা.) নবী (সা.)-কে বলেন, আনাস তো আপনারই খাদিম। তখন তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দিন এবং আপনি তাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দিন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩৩৪)
যিনি উপার্জিত সম্পদ অপচয় ও অপব্যয় না করে নেক সন্তানের জন্য রেখে যান, তাঁর হাতে সম্পদ কল্যাণকর। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার ওয়ারিশদের স্বাবলম্বী রেখে যাওয়া উত্তম, তাদের নিঃস্ব ও মানুষের দ্বারস্থ করে যাওয়ার চেয়ে। আর তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যে ব্যয়ই করো না কেন, তার বিনিময়ে তোমাকে সওয়াব দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে আহার তুলে দাও—তাতেও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৬৮)

মহান আল্লাহ আমাদের উত্তম সম্পদের অধিকারী করুন এবং আমাদেরও উত্তম মানুষ বানিয়ে দিন।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - ধর্ম