এদিন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এজলাসে বসেন বিচারক। এ সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় বিচারকের কাছে এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
কিন্তু বিচারক পরে তারিখ নির্ধারণ করতে চান। তবে বিএপপিনন্থি আইনজীবীরা এজলাসেই পরবর্তী শুনানির তারিখ দিতে অনুরোধ করেন। এরপর আদালত তারিখ না দিয়েই অন্য মামলা শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ডায়াসে দাঁড়িয়ে তখনই শুনানির তারিখ চান।
একপর্যায়ে তাদের চাপের মুখে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ১০ মিনিটের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে শুনানির তারিখ জানাতে বলে এজলাস ছাড়েন বিচারক। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বিচারক পুনরায় এজলাসে বসে শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত বিএনপি মহাসচিবের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে জামিন আবেদন করা হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সে সময় তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের বাসায় এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, সরকার থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী। তারাও এই হরতালের পালন করে।