শনিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাবি অফিসার সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

Paris
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মোস্তফা-কাওসার-চঞ্চল পরিষদ। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাহী-রাব্বেল প্যানেল গঠনতন্ত্র পরিপন্থি উপায়ে ‘পুতুল’ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তাদের। গতকাল শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন প্যানেলের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল। লিখিত বক্তব্যে কামরুজ্জামান চঞ্চল বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে গত বছরের ১১ এপ্রিল সমিতির সাধারণ সভায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মহামারির কারণে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। পরবর্তীতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন বিষয়ে তিনটি প্যানেলকে নিয়ে আলোচনার জন্য সভা আহবান করেন। কিন্তু সেই সভায় রাহী-রাব্বেল প্যানেলের কেউ উপস্থিত হননি। সেই সভায় উপস্থিত দুই প্যানেল ও নির্বাচন কমিশনারকে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা দেন উপাচার্য।

তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির সাধারণ সভায় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করে। সেই সভায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করে। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাহী-রাব্বেলকে সমঝোতার জন্য অন্য দুই প্যানেলের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিলে তারা সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখান করে তাদের ঘোষিত পুতুল নির্বাচন কমিশনারকে দিয়েই ৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একনায়কতন্ত্রের কারণে কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতি, সম্মান ক্ষুন্নসহ সামাজিকভাবে মর্যাদাহানির মত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ‘স্বেচ্ছাচারী’ ও ‘অযোগ্য’ নেতৃত্বের হাত থেকে অফিসারদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাহী-রাব্বেল প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন স্থগিত করেছিল। সেই শঙ্কা থেকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন নিয়েও আমরা শঙ্কিত।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেলের সভাপতি ড. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ গোলাম কাওসার, দফতর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য রাশিদা খাতুন ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

জি/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর