বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাবির কৃষি অনুষদের কক্ষ বরাদ্দের সমাধান হয়নি পাঁচ মাসেও

Paris
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬ ৫:২৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের নবনির্মিত কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে চলমান বিরোধ পাঁচ মাসেও সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার কক্ষ পুনঃবণ্টনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ফিশারিজ এবং এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষকরা।

 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান শিক্ষকরা।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তৎকালীন অনুষদের ডিন ও ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহানা কায়েস তার দায়িত্বের শেষ কর্যদিবসে অনুষদের নবনির্মিত ভবনের কক্ষ বরাদ্দ দেন। তখন থেকেই ওই বরাদ্দের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিল ফিশারিজ ও এগ্রোনমি বিভাগ। এরপর নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রপ সায়েন্স বিভাগেরই অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এরপর ১২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর থেকে কক্ষ বরাদ্দের লিখিত চিঠি বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়। এরপর ১৪ জুন কক্ষ পুনঃবণ্টন এবং সমস্যা সমধানে ফিশারিজ ও এগ্রোনমি বিভাগের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ডিনকে দেন। এর পরে ২৯ জুন নবনিযুক্ত ডিন সমস্যা সমাধানে মিটিং আহ্বান করেন। কিন্তু ক্রপ সায়েন্স ও ভেটেরিনারী বিভাগের সভাপতি উপস্থিত না হওয়ায় মিটিং স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্য ডিনসহ বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে মিটিং করে পুনরায় সমস্যা সমাধানে ডিনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

unnamed-copy
এরপর কোনও সুরাহা না হওয়ায় ২৮ আগস্ট ফিশারিজ ও এগ্রোনমি বিভাগ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তখনও উপ-উপাচার্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার আবারও কক্ষ পুনঃবণ্টনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান চার বিভাগের সভাপতিরদের পুনরায় ডেকে পাঠান এবং তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেন। শনিবার উপাচার্যের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনায় বসবেন বলে জানান উপ-উপাচার্য।

 
ফিশারিজ ও এগ্রোনমি বিভাগের শিক্ষকদের অভিযোগ, তৎকালীন ও বর্তমান ডিন ক্রপ সায়েন্সের হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ভুল তথ্য দিয়ে এ ধরনের অযৌক্তিক বণ্টন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী তাদের চেয়ে অনেক বেশি সেখানে আমাদের কম কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমারা কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে, মেশিনাররিজ বাহিরে রাখা হয়, সেখানে ক্রপ সায়েন্সকে তিনটি অফিস কক্ষসহ মোট ২০টি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। নবনির্মিত ২০ হাজার বর্গফুটের ১৬ হাজার বর্গফুটই দেওয়া হয়েছে ক্রপ সায়েন্স ও ভেটেরিনারী বিভাগকে আর বাকি অংশটুকু দেওয় হয়েছে আমাদের দুই বিভাগকে।

 
ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ আফজাল হুসাইন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী তাদের থেকে বেশি তাই কক্ষ বরাদ্দে আমাদের অগ্রাধিকার না দিয়ে ক্রপ সায়েন্স ও ভেটেরিনারি বিভাগকে বেশি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাই কক্ষ পুনঃবণ্টন করে আমাদের আরও একটি ক্লাস ও দুইট অফিস কক্ষ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।’

 
এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল হক বলেন, ‘বর্তমান ও তৎকালীন অনুষদ অধিকর্তা দুজনেই ক্রপ সায়েন্সের হওয়ার নিজ ক্ষমতাবলে ক্রপ সায়েন্স বিভাগকে বেশি জায়গা দিয়েছে।’

 
ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোসলেহ্ উদ্দীন বলেন, ‘কক্ষ বরাদ্ধ কমিটির সিদ্ধান্ত অন্য দুটি বিভাগ মানতে না পারায় এখনও সমাধান হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার উপ-উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার পর তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’

 
জানতে চাইলে অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘মোখিকভাবে উপাচার্য আমাকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চার বিভাগের সভাপতির সাথে মিটিং করেছি। যারা বেশি কক্ষ পেয়েছেন তারা ছাড়তে আর যারা কম পেয়েছেন তারা মানতে রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি। আমি উপ-উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’

 
ক্ষমতাবলে ক্রপ সায়েন্সকে কক্ষ বেশি বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার আগের দিন বরাদ্দ কমিটি ২৪ এপ্রিল কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করা হয়েছে।’

 
এদিকে মুঠোফোনে অধ্যাপক শাহানা কায়েসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 
কক্ষ বরাদ্দ কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘আমি ডিন এবং বিভাগের সভাপতিদের সাথে বসে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কক্ষ বরাদ্ধ সামান্য কমবেশি হতে পারে। তাদেরকে অনুরোধ করেছি যেন তারা নিজেরা বিষয়টি মিটিয়ে নেন।’

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর