নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলন শুরু হয়েছে। ত্রিশ বছর পর ২৩তম এ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
গণিত সম্মেলনর সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর। কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপঙ্কর চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. নাছিমা আক্তার।
দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে গণিত সম্পর্কে থাকছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেশন। পেপার প্রেজেন্টেশনসহ গণিত সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের সুযোগ। আগামীকাল (শুক্রবার) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের গণিত সম্মেলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, “গণিত মানুষের জীবনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আজকের এ সম্মেলনে গণিত নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করবে, মত প্রকাশ করবে এমন একটি দারুণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাবির গণিত বিভাগকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান তিনি।”
আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলন আয়োজনের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হক বলেন, বাংলাদেশসহ দেশের বাইরের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে গণিত সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করা হয় এবং ছাত্রদের কল্যাণে এসব কাজে লাগবে। গণিত সম্পর্কে আমরা গবেষণা করে যে সকল আউটফল পাই সেগুলো বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোন কাজে লাগবে সেগুলো উঠে আসবে এ সম্মেলনে। আমাদের এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ২৫০ জন গবেষক এবং শিক্ষার্থী প্রবন্ধ উপাস্থাপন করবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গণিত সমিতি বাংলাদেশের গণিতবিদদের একটি পেশাদার সংগঠন। বাংলাদেশে গণিত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে উৎসাহ প্রদান, সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন, গণিতবিদদের স্বার্থ ও সম্মান সংরক্ষণ, দেশবিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ রক্ষা, সমন্বয় সাধন ও আন্তঃক্রিয়া বৃদ্ধি করা; প্রবন্ধ, প্রতিবেদন, সাময়িকী, জার্নাল প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে গণিত শাস্ত্রের জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়া; জাতীয় ও পেশাজীবীদের বিভিন্ন গণিত বিষয়ক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে এ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।