নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য ১৮ নারী দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাও (মাহিয়া মাহি) আছেন। এছাড়াও আছেন বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী ও বর্তমান এমপিও।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। এতে সারাদেশ থেকে ১৫৪৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয় বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের। এবার ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৮টি।
রাজশাহীর ১৮ জনের মধ্যে আছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সমাজসেবক শাহীন আক্তার রেনী, ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক শারমিন আক্তার নিপা, সংরক্ষিত আসনের এমপি ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আদিবা আঞ্জুম মিতা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরজিনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাসরিন আক্তার মিতা, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা রেজা খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইফফাত আরা কামাল, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পূর্ণিমা ভট্টাচার্যমহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিখা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহবুব চপলা, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস শেলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের কন্যা তানজিমা শারমিন মুনি, তানোর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন কিনেছেন বিএনএম নেত্রী তাজকিয়া বিনতে নাজিব। এছাড়াও দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি তারা হলেন শাহানারা বেগম ও রুমা রানী রায়।
তফশিল ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য নারী নেত্রীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজেদের সাধ্যমতো তদবির ও লবিং করছেন। সংরক্ষিত মহিলা এমপি হতে হলে সাধারণত স্থানীয় এমপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এছাড়া দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারা চেষ্টা করছেন।
তবে সব প্রার্থীই এমপি হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। প্রার্থীরা বলছেন, আমাদেও যোগ্যতা আছে এমপি হওয়ার। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নিরাশ করবেন না। দীর্ঘ থেকে আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার সবাই আশাবাদী। দলীয় প্রধান যা সিদ্ধান্ত দেবেন সবাই তা মেনে বলে জানিয়েছেন তারা।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনগুলোতে নতুনদের সুযোগ দিতে চায় আওয়ামী লীগ। সে কারণে বাদ পড়বেন বেশিরভাগ বর্তমান এমপি। তবে দলের সভানেত্রীর বিশেষ বিবেচনা আর ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে ‘চার-পাঁচজন’ পুনরায় সংসদে বসতে পারেন।
জেলা ও মহানগরের একাধিক নেতা জানান, এমপি প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন পারিবারিকভাবেই দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আবার কয়েকজন রয়েছেন বেশ নবীন। প্রার্থীদের কেউ কেউ দলের দুর্দিনে-সুদিনে দলের পতাকা ধরে রেখেছিলেন। আবার কেউ কেউ দলের সুবিধাজনক অবস্থা দেখে নতুন রাজনীতিতে নেমেছেন।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের উৎসাহিত করতে মাঠে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে সংসদ সদস্য করা হলে রাজনীতিতে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী থেকে যাকে চাইবেন আমরা তাকেই স্বাগত জানাবো। সরকারের উন্নয়নে সামিল হয়ে সংরক্ষিত আসনে ভূমিকা রাখতে হবে। দলনেত্রী ভালো করেই জানেন এখানে কাকে সংরক্ষিত আসন দেওয়া হবে। তাই তিনি এই বৃহৎ এলাকার জন্য যোগ্য নারীকেই এমপি বানাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।