নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। নগরীর বোয়ালিা থানায় মামলাটি করা হয়। হামলার পর সতর্কতা জোরদার করেছে পুলিশ। হামলার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। তবে হামলার পর পরই শিবির ক্যাডাররা আত্মগোপনে চলে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর শাহ মখদুম থানা নায়েবে আমীর হাফিজুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৬ জনকে নামের উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনতে আসামী করা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ রাজশাহীর পক্ষে ওই মিছিলটি বের করা হলেও সিংহভাগ নেতাকর্মী ছিলেন শিবিরের। মিছিল শেষে নগরীর উপশহর মোড় এলাকায় ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবিরের ক্যাডাররা। এতে এসআই আবু হায়দার ও কনস্টেবল আহাদ নামের দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন. ‘মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহার নামীয় দুইজনসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর পরই নগরজুড়ে ব্যাপক অভিযানে নামে পুলিশ। তবে তার আগেই জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তেমন কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কিন্তু পরবর্তিতে যেন আর কোনো হামলা পুলিশের ওপর চালাতে না পারে শিবির ক্যাডাররা তার জন্য সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত নগরজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় পুলিশ। ওই তাণ্ডবের সময় পুলিশের এক সদস্যের দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়। একজনকে মাথা থ্যাঁতলে দেওয়া হয় ইট ও হেলমেট দিয়ে। এছাড়াও সংঘর্ষের বিএনপির হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। পাশাপাশি ব্যাপক হারে জ্বালাও-পোড়াও করা হয় ওই সময়।
স/আর