রবিবার , ১৭ জুলাই ২০১৬ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাক্ষুসী পদ্মা গিলেছে বাঘার চরাঞ্চলের মানুষের বাড়ি-ঘর!

Paris
জুলাই ১৭, ২০১৬ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা:

রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের অব্যহত নদী ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের মানুষের ভাঙ্গনের কারনে নতুন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর রাক্ষুসী পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে তারা এখনও দিশাহারা। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।

 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রোববার (১৭ জুলাই) চকরাজাপুরের আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে আবদুল মান্নান ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। পদ্মার ভাঙ্গনের কারনে অন্যাত্রে সরিয়ে নিয়েছে বাড়ি। এছাড়া পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় গত বছরের ভাঙ্গনে রক্ষা পায়নি চকরাজাপুর চরের জিল্লুর রহমান, আবুল কাশেম, বজলুর রহমান, আহম্মেদ আলী, রেজাউল করিম, বশু মন্ডল, বাচ্চু মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেনসহ দুই শতাধিক এসব মানুষের  বাড়ি-ঘর।

 

বছর পর বছর নদীর পাড়ের এইসব ছিন্নমূল মানুষের দুঃখের চিৎকার কারো কানেই পৌঁছায় না। কোন কোন স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাড়ি-ঘর রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে।

 
চকরাজাপুর এলাকার কৃষক রাজু মিয়া ও রবিউল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনে রাক্ষুসী পদ্মা গিলেছে বিঘার পর বিঘা ধান, পাট, আবাদি জমি, গাছপালা।

 
ভাঙনের শিকার এইসব মানুষদের সহযোগিতা তো দূরের কথা শান্তনা দেবার মতও কেউ নেই। বারবার সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকানোর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই ভোটের সময় দেখা হলেও সবহারা এসব মানুষের এই মহাবিপদে এখন পর্যন্ত পাশে কেউই দাঁড়ায়নি। অব্যাহত ভাঙন থেকে বাড়ি-ঘর সরানোর তাড়া। ফলে এসব পরিবারের ভালো খাবারের নিশ্চয়তাও নেই।

 
পূর্ব চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত জামান বলেন, ফসলী জমিসহ গাছ-পালা, বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের ফলে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে দুই শতাধিক পরিবার। তারা এখন ঘরবাড়ি শরাতে ব্যস্ত। তবে তাঁর বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি দুবার স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

 
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, ভাঙন কবলিত মানুষদের জন্য গত বছর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা এসেছিল। তবে এবার বরাদ্দ এখনো আসেনি। আসলে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে পদ্মার কোন কোন স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাড়ি-ঘর রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে মানুষ।

 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তালিকা তৈরী করে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডর দায়িত্ব বাঁধ নির্মানের। তবে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে জানানো হবে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর