তিনি বলেন, আফ্রিকার বাজার ধরতে পারলে সেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের বাইরেও আমাদের অনেক পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
আফ্রিকার দেশগুলোতে চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত অনেক জমি রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সেখানে জমির দাম অনেক কম। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে সেখানে চাষাবাদ থেকে শুরু করে বড় ধরনের বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন।
আফিক্রায় ইজ অব ডুয়িং বিজনেস-এর অবস্থা অনুসন্ধানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, আফ্রিকায় পণ্য উৎপাদন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানো যায়। আফ্রিকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নতুন বাজার ধরা গেলে দুই পক্ষই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। সরকারের সহযোগিতা পেলে নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা যাবে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকায় নিযুক্ত উগান্ডার অনারারি কনসাল আবুল হোসেন। তিনি বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। আফ্রিকায় দশ থেকে পনেরোটি দেশ রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাময়। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে নির্ভরশীল না হয়ে আফ্রিকায় বাজার খোঁজার সময় এসেছে এখন; যেখানে প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি ও কৃষিপণ্য ইত্যাদি হতে পারে বিরাট সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এছাড়া আফ্রিকায় ব্যবসা শুরু করা গেলে একই সাথে সেখানে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে।
সভায় সিটি ব্যাংক ও পার্টেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, আমরা শুধু ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যবসা করছি। আফ্রিকায় ব্যবসা করার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো মেকাবিলা করা গেলে বাংলাদেশের জন্য বিশাল বড় বাজার হবে আফ্রিকা।
আফ্রিকায় ব্যবসা শুরুর আগে সেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি ও আমদানি পণ্যগুলো চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (আফ্রিকা) এ.এফ.এম জাহিদ উল ইসলাম। আফ্রিকার সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিগত দুই-তিন বছর ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনেক কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও মন্ত্রণালয় থেকে সবরকম সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় কেনিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম ওয়াহিদুর রহমান, পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা জেসমিন কেকা, এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব, হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, কাওসার আহমেদ, মহাসচিব মো. আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিভাগের পরামর্শক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।