সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
১৭১ রানের টার্গেট। কিন্তু শুরু থেকে উইকেট হারালো রংপুর রাইডার্স। আগের দুই ম্যাচ ৯ উইকেটে জেতায় তাদের ব্যাটিং লাইন আপ ছিল অপরীক্ষিত। ঢাকা ডাইনামাইটসের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে প্রথম ১০ ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ল তারা। মোসাদ্দেক হোসেন-নাসির হোসেনের ম্যাচে রংপুর হারল ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে। তাতে জয়ে ফিরল সাকিব আল হাসানের ঢাকা। এবারের বিপিএলে প্রথম হারের স্বাদ পেল রংপুর।
আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়েই দিয়েছে রংপুর। শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে বিপিএল ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৪ রানে অল আউট করেছিল। কিন্তু এদিন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা রংপুরের বোলারদের হতাশায় ডুবালেন। তরুণ তারকা মোসাদ্দেক ২৮ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। বিপিএলে প্রথম ব্যাট হাতে পেয়ে নাসির ৩৩ বলে করলেন ৩৮। ২৯ রান কুমার সাঙ্গাকারার। তাতে মিরপুরে টসে হারা ঢাকা শনিবার ৬ উইকেটে ১৭০ রান তোলে। এবারের আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ম্যাচটা ওখানেই অনেকটা জিতে যায় তারা। রংপুর ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেটে ৯২ রান করে। রিচার্ড গ্লেসন ব্যাট করতে পারেননি।
সৌম্য সরকার (২), মোহাম্মদ মিথুন (০) ও বিপজ্জনক মোহাম্মদ শাহজাদ (১১) দলের ২৩ রানের মধ্যে নেই। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৫ রান। বাকি ৬০ বলে ১২৬ রান তুলে আর কিভাবে জেতে রংপুর।
এই পরীক্ষায় দাঁড়াতে পারেননি রংপুরের কোনো ব্যাটসম্যানই। ইনিংসে একটা ফিফটি থাকলেও বোঝা যেত লড়েছেন কেউ। কিন্তু অধিনায়ক নাঈম ইসলাম (২৬) ইনিংস সর্বোচ্চ রান করলেন। ১৬ রান করলেন লিয়াম ডসন। শহীদ আফ্রিদি (৪) ব্যাট হাতে প্রথম প্রমাণের লড়াইয়ে ব্যর্থ। সাকিব ১৭ রানে ২ উইকেট নেন, ৩ ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোর শিকার ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নাসির, সাঞ্জামুল ইসলাম, সেকুজ্জে প্রসন্ন, আলাউদ্দিন বাবু, মোহাম্মদ শহীদের। এখন ৩ ম্যাচে ঢাকা, রংপুর ও খুলনার পয়েন্ট সমান ৪।
এর আগে আগ্রাসী মেহেদী মারুফকে (১০) প্রথম ওভারেই হারিয়েছিল ঢাকা। সাকিব ব্যাটিংয়ে প্রমোশন দিয়ে নাসিরকে পাঠিয়ে দেন ৩ নম্বরে। বিপিএলে এবার প্রথম ব্যাট করতে নেমে দারুণ নাসির। সাঙ্গাকারার সাথে ৬৯ রানের জুটি করেন দ্রুত। এরপর শহীদ আফ্রিদি ডাবল মেইডেন উইকেট নেন। দ্বিতীয় উইকেট নেন সোহাগ গাজীও। ১ উইকেটে ৭৯ থেকে ৪ উইকেটে ৮১! হঠাৎই চাপে ঢাকা।
কিন্তু সাকিবের সাথে জুটি বাধা মোসাদ্দেক সেই চাপটাকে জেকে বসতে দেননি। সাকিব ১০ রান করে আউট হলেও দারুণ মেরে খেলেছেন মোসাদ্দেক। তার ব্যাটের ঝলকে ছাড় পাননি কেউ। ডোয়াইন ব্রাভো ১০ বলে ১৩ এবং প্রসন্ন ৫ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন। মোসাদ্দেক ফিফটি করতে পারেননি। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে অপরাজিত তিনি। আগের ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারলেও এবার পারলেন। এবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটি মোসাদ্দেকেরই।
সূত্র: কালের কণ্ঠ