সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যদি ঠিকমতো জীবনযাপন করা না হয়, তাহলে ওজন কমানোর পর আবার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য একটু একটু করে খাবার ও জীবনযাপন পরিবর্তন করতে হবে।
ইটদিসনটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্যালিফোর্নিয়ার নিবন্ধিত পরামর্শক ডা. অ্যামি লি সঠিক ওজন ধরে রাখতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আপনার অভ্যাসই বলে দেবে কত তাড়াতাড়ি ওজন বাড়বে। জীবনযাত্রার পদ্ধতি যেমন ওজন কমাতে সহায়ক, তেমনি কাঙ্ক্ষিত ওজন ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
একই প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক ভিত্তিক পুষ্টিবিদ অ্যামি গুডসন বলেন, সকালের নাস্তায় প্রোটিন ও আঁশধর্মী খাবার খেলে পেট ভরা অনুভূতি থাকে অনেকক্ষণ, ক্ষুধার হরমোন কমে, সারাদিন খাইখাই-ভাব থাকে না। ফলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা সম্ভব হয়। যা কিনা ওজন বাড়তে দেয় না।
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্যের সমন্বয় করে খেতে গুডসন। তিনি বলেন, প্রোটিন পেশি গড়তে সাহায্য করে। আঁশ পেটভরা অনুভূতি দেয় অনেকক্ষণ, বেশি খাওয়া কমায়। দুয়ে মিলে বেশি খেয়ে ফেলার ঝুঁকি কমাতে পারে।
গুডসন বলেন, শারীরিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ‘স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং’ এবং ‘কার্ডিও’র মিশ্রণে ব্যায়াম চালিয়ে গেলে বিপাকী কার্যক্রমে সামঞ্জস্য থাকে এবং শক্তির খরচ ঠিকমতো হয়।
৪০ বছর পরই খাবারের পরিমাণে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। গুডসন বলেন, খাবার খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা অভ্যাস গড়লে অতিরিক্ত খাওয়া কমানো যায়, বিশেষ করে ক্যালরিযুক্ত খাবার।
যতক্ষণ ক্ষুধা না লাগছে ততক্ষণ না খাওয়া। আর প্লেটের অর্ধেক নিতে হবে সবজি, বাকি অর্ধেকের একভাগ থাকবে চর্বিহীন প্রোটিন আর একভাগ থাকবে উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ কার্বোহাইড্রেইট। এভাবে খেলে খাওয়াতে তৃপ্তি আসবে। ফলে ক্ষুধার পরিমাণ কমবে।
খাওয়ার পরিমাণ কমালেও, নিয়মিত তিন-চার বেলার খাবার খেতে হবে। গুডসন বলেন, প্রতিবেলার খাবার ঠিক সময়ে খেলে বিপাকীয় পদ্ধতিতে সমাঞ্জস্য থাকে, পরের বেলায় অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
দিনে প্রতি তিন-চার ঘণ্টা পর খাওয়ার লক্ষ্য থাকা উচিত।
ওজন কমানো কোনো মৌসুমভিত্তিক কারবার নয়। সারা জীবন ধরে এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়। তাই ওজন কমানো ও সেটা ধরে রাখতে ওপরের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আজীবন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: যুগান্তর