এর ফলে কি শহরে লোডশেডিং বাড়বে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না। কোথাও লোডশেডিং করে আরেক জায়গায় দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
গ্রামে তো প্রচুর লোডশেডিং হচ্ছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং।
তেলের যে সমস্যা ছিল সেটি কেটেছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।
গতকাল সংসদে সংসদ সদস্যরা এলাকার লোড শেডিং নিয়ে কথা বলেছেন- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সংসদ সদস্যদের রাইট আছে নিজেদের এলাকার প্রবলেমটা বলার, তারা সেগুলো প্রকাশ করেছেন। সেটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।
অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড় করেছে, সেটা কি পাওয়া শুরু করেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কিছু কিছু করে পাচ্ছি। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।
উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম সে পর্যন্ত আমরা গেছি। তার ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থাপন। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।
প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি সব সময় নির্দেশনা দিয়ে গেছেন পুরো দেশই লোডশেডিং মুক্ত রাখতে হবে।