নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বেড়াবাড়ী ডাইংপাড়ার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু রাব্বি অপহরণ ও নৃশংস হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার ৭ আসামীকে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যূনাল আদালতে নেয়া হলে বিচারক শিরিন কবিতা আখতার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, রায়ে এক আসামীকে আমৃত্যূ কারাদণ্ড ও অপর তিন আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন,আবুল কাশেমের ছেলে মাজেদুর রহমান সাগর (১৯),হযরত আলীর ছেলে নাজমুল হক (২০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিপন সরকার লিটন (২০)। এছাড়া তাদের সকলকে বিষ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার আসামি একই এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী আসিনুর বেগম (৩২)কে আমৃত্যূ কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্ভদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
এছাড়া আসামি আবুল কাসেম (৫০), আমিনুল ইসলাম(২৪) ও সাহাবুদ্দিন (২২)কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ।
এর আগে,গত ২৯ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে দুই দিনব্যাপী যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক শিরীন কবিতা আখতার আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এই মামলায় বাদি পক্ষের ১৮ জন এবং আসামি পরে ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে বেড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ফজলে হোসেন রাব্বি (১০)কে অপহরণ করা হয়। ওই দিনই দেহ থেকে মাথা ও ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে লাশ বস্তায় ভরে জনৈক হাবিবুর রহমানের ধান খেতের ডিপটিউবওয়েলের নালায় পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা। এরপর হত্যাকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রাব্বির পিতা মামলার বাদি আলী হোসেনকে মোবাইল করে। ২৪ ডিসেম্বর টাকা নিয়ে রাব্বিকে ছাড়ার কথা থাকলেও আসামিদের মোবাইল বন্ধ থাকে। আলী হোসেন প্রথম ২০ ডিসেম্বর মোহনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং ২৪ ডিসেম্বর এজাহার করেন। এর দুই দিন পর ২৬ ডিসেম্বর শিশু রাব্বির লাশ উদ্ধার হয়।
পুলিশ টেলিফোন কলের সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেফতার করে এবং পরে আসামি সাগর ও আসিনুর বেগম দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে ঘটনার বিষয় সামনে আসে।
স/শ