নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুকুর ভারাট নিয়ে লেখালেখির পর পুকুর খেকোর দল কিছুদিন চুপ থাকার পর এখন সুযোগ বুঝে ফের পুকুর ভরাটে নেমেছে। নগরীর ২৩-২৪ ওয়ার্ড সংলগ্ন আপহম্মদপুর স্কুলের সামনে মেহেরের পুকুর নামে পরিচিত পুকুরটি মঙ্গলবার সকাল থেকে ভরাট শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে তারা অপকর্ম শুরু করেছে। সকালে ভরাট কর্মকান্ডে বাধা দিতে গেলে মাস্তান চক্র এলাকাবাসীকে বাধা দেয়। ইতোপূর্বে এই চক্রটি কৌশলে এলাকার বেশকটি পুকুর ভরাট করেছে। আর মেহেরের পুকুরটি এই দুই ওয়ার্ডের মানুষের ভরসা। পদ্মা নদীতে দু’মাসের বেশী পানি থাকেনা। তখন বাঁধের এপারের ওপারের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা এই পুকুর। আহম্মদপুর, পঞ্চবটি, সেখেরচক, বাজে কাজলা এলাকার মানুষ এ পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসছে।
ইতোপূর্বে গত বছরের জানুয়ারী মাসে একবার ভরাটের উদ্যোগ নিলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। পত্র পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে তারা চুপ হয়ে যায়। এখন পুলিশ প্রশাসন না থাকায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকার সুযোগে ফের পুকুর খেকো চক্রটি তৎপর হয়ে উঠেছে। এর আগে এলাকাবাসী এই পুকুর ভরাট নিয়ে সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্ত, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে। তখন এই পুকুর ভরাটকারী মহলটি প্রভাবশালী হবার কারনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
রাজশাহী মহানগরীতে পুকুর ভরাট বন্ধ, আর যাতে কোন পুকুর ভরাট না হয় এবং ভরাটকৃত পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ও সংরক্ষনের জন্য হাইকোটের নির্দেশ থাকলেও সেই নির্দেশনা অমান্য করে পুকুর ভরাট অব্যাহত রয়েছে। এলাকার মানুষ সেনা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে কঠোর হস্তে এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার। সকালে পুকুর ভরাটের বিষয়টি একজন গণমাধ্যম কর্মী জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেও বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে তারা তাদের অভিযান চালানোর মত স্বক্ষমতা এখনও হয়নি বলে জানানো হয়। এদিকে ভূক্তভোগিরা বলছেন সেনা প্রধান রাজশাহীতে আসার কারনে স্বভাবিকভাবেই তারা ঐদিকে ব্যস্ত। এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে দূর্বত্তরা।