১. কোভিড
অনেকেরই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মুখে কালচে দাগ দেখা দিয়েছে। Pityriasis rosea হলো ত্বকের এক ধরনের ফুসকুড়ি যা কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও দেখা গেছে। এটি প্রথমে শরীরের কোনো এক জায়গায় বিশাল লাল ছোপ হিসাবে উপস্থিত হয় এবং কয়েকদিন পরে বুকে, পেটে বা পিঠে বেশ কয়েকটি ছোট, গভীর লাল ছোপ দেখা যায়। তবে এগুলো খুব বেশি চুলকায় না। এখান থেকেই দেখা দিতে পারে কালচে ছোপ।
২. গর্ভাবস্থার কারণে
৩. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
হরমোনের ব্যাঘাতের ফলে থাইরয়েড এবং PCOS-এর মতো অবস্থা হতে পারে। মুখে কালো দাগের জন্য দায়ী হতে পারে আপনার নিষ্ক্রিয় বা অত্যধিক সক্রিয় হরমোন গ্রন্থি। আপনার মুখের উপর মেলাসমা দাগ অকার্যকর থাইরয়েড গ্রন্থির ফলে দেখা দিতে পারে যা হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করে।
৪. সান এক্সপোজার
সূর্যের সংস্পর্শে এলে ত্বকের রঙের জন্য দায়ী প্রাকৃতিক রঙ্গক মেলানিন অতিবেগুনী (UV) বিকিরণের দ্বারা আরও দ্রুত উৎপাদিত হয়। বছরের পর বছর ধরে সূর্যের সংস্পর্শে এলে ত্বকে মেলানিন জমা হয় বা অতিরিক্ত উৎপাদিত হয়। ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখে দাগ বাড়তে থাকে। কমার্শিয়াল ট্যানিং বেড এবং ল্যাম্প ব্যবহার করলেও মুখে কালচে দাগ হতে পারে।
৫. কালচে দাগের সমাধান
হলুদ বা চন্দনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। আলুতে ক্যাটেকোলেজ এনজাইম থাকে, তাই এটি কালো দাগ হালকা করতে পারে। এছাড়াও প্রদাহ, কালো দাগ এবং ব্রণ দূর করতে মুলতানি মাটি গুঁড়া, হলুদ এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকে উজ্জ্বলতাও যোগ করে।