মা হওয়া যেকোনোর নারীর জন্যই আনন্দজনক। কিন্তু সন্তান ধারণের পর থেকেই মায়ের শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। সন্তান প্রসবের পরেও অনেক মায়ের ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সন্তানের বিভিন্ন চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক নানা কারণেও তাদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই অবসাদ শিশুর জন্মের সাত দিনের মধ্যেই শুরু হয় বা তার আগেও হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশ অনেকটা সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গ দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-
যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে
খুব সহজেই বিরক্ত হয়ে যাওয়া, কারও সঙ্গে কথা বলতে না ইচ্ছে করা, মনঃসংযোগে সমস্য়া, অকারণে রেগে যাওয়া বা খিটখিটে হয়ে যাওয়া, ঘুমে কমে যাওয়া বা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, মাথাব্যাথা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
যেসব নারীর সন্তানকে নিয়ে একা থাকতে হয় বা বাড়িতে সদস্য কম তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার ভয় প্রবল। এছাড়াও, পারিপার্শিক পরিবেশ ভালো না হলে, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা থাকলে বা মায়ের বয়স কম হলে এই ধরনের অবসাদ দেখা দিতে পারে।
যত্ন নিতে হবে
নবজাতকের দেখাশোনার পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে নিজেরও। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। ঘুম এবং খাওয়ার দিকে নজর দিন। একা সব কাজ করতে যাবেন না। বরং যতটুকু পারবেন, ততটুকুই করুন। প্রয়োজনে নবজাতকের দেখাশোনার জন্য একজন আয়া রাখুন।
নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন
যেসব ইচ্ছা মনে লুকিয়ে রেখেছেন, সেগুলো সত্যি করতে পারেন। বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যান। মোট কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। মা হয়েছেন বলে সবকিছু বাদ দিয়ে দেবেন না যেন।
হাসুন
একা থাকলেই নানা দুশ্চিন্তা মাথায় এসে ভর করবে। বরং সবার সঙ্গে মিশে থাকার চেষ্টা করুন। কোনোরকম সমস্যা বোধ করলে তা অন্যদের জানান। মন খারাপ করে থাকবেন না। চেষ্টা করুন মন খুলে হাসতে। সদ্য মা হয়েছে এমন কেউ পরিচিত থাকলে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারেন।
বিশ্রাম
মা হলে ব্যস্ততা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে শুধু পরিশ্রম নয়, পাশাপাশি নিতে হবে বিশ্রামও। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।