সে দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৈয়দ আলী নামের চল্লিশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তিকে অন্য কোথাও খুন করে সৈকতের কাছে নিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।
কুয়ালা লাঙ্গাট জেলা পুলিশের প্রধান জাইলান তাসির জানান, রোববার মধ্যরাতে আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির পোড়া লাশ উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে এবং তার পিঠ ও কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
“অন্য কোথাও খুন করে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য এখানে এনে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না,” বলেন জাইলান।
তিনি জানান, নিহতের দুই হাতের আঙুলে একটি করে আঙটি ছিল, ওয়ালেটে ছিল পাসপোর্ট (নম্বর: BC0214534)। আর বুক পকেটে ১০ ও ২০ রিংগিতের নোট পাওয়া গেছে। পাশেই পড়ে ছিল ক্যাস্ট্রল ইঞ্জিন অয়েলের বোতলের মুখ।
এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে বলে বারনামার খবরে জানানো হয়।
এদিকে সৈয়দ আব্দুল মন্ডলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের রাজশাহীর দুর্গাপুরে শোকের মাতম সৃষ্টি হয়েছে। সৈয়দ আব্দুল মন্ডল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিহতের শ্যালক আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, সোমবার সকালে তিনি তার দুলাভাই সৈয়দ আব্দুল মন্ডলকে জরুরী কাজে ফোন করেন। তবে তার ফোনটি বন্ধ পান তিনি। পরে বাসায় গিয়ে দুলাভাইয়ের পোড়া লাশ পুলিশ ঘিরে রাখা অবস্থা দেখতে পান।
জানা যায়, সৈয়দ আব্দুল মন্ড ২০১০ সালে মালয়েশিয়া যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি তিনি নিজেই একটি মুদি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিন রাত নয়টার কিছুক্ষণ আগে সৈয়দ আব্দুল মণ্ডল তার বাবা আব্দুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন। ওইসময় তিনি দুর্গাপুর থানার ওসি ও একজন আইনজীবীর মোবাইল নম্বরও বাবাকে দিতে বলেন। তবে কিছুক্ষণ পরেই সৈয়দ আব্দুল মণ্ডলের নম্বরটি বন্ধ পান তার বাবা-বলেন আব্দুল কাদের।