শুক্রবার , ২৬ আগস্ট ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মহিতুল ইসলামের মরদেহ যশোরে, দাফন শুক্রবার

Paris
আগস্ট ২৬, ২০১৬ ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বাদী এএফএম মহিতুল ইসলামের মরদেহ যশোরে পৌঁছেছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে মরদেহ বহনকারী গাড়ি বহরটি যশোর পৌঁছায়। রাতে মরদেহ মরহুমের শ্বশুর যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া এলাকার আনিছুর রহমানের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

 

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ নেওয়া হবে ঝিকরগাছার বিএম হাইস্কুল মাঠে।  সেখানে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে মরহুমের গ্রামের বাড়ি মণিরামপুরের কাশিমপুর গ্রামে। বাদ জুমা নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

 

ঢাকা থেকে মরদেহবাহী গাড়ির বহরে এসেছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা।

 

এএফএম মহিতুল ইসলামের পৈত্রিক বসতভিটা মণিরামপুরের কাশিমপুর গ্রামে। পরবর্তীতে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা শহরের বিএম হাইস্কুলের সামনে বাড়ি করেছেন। তবে তার ইচ্ছাতেই মরদেহ নিজ গ্রামে ধাপন করা হচ্ছে।

 

মরদেহ দেখার জন্য রাত ১১টা থেকেই ঢাকা থেকে যশোর শহরের প্রবেশদ্বার খাজুরা বাসস্টান্ডে ভিড় করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। পরে মরহুমের শ্বশুর বাড়িতে মরদেহ দেখতে রাতেই উপস্থিত হন মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও মীর জহুরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

 

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

 

এএফএম মহিতুল ইসলামের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তার ৩২ নম্বরের বাড়ির রিসিপসনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ ছিলেন মহিতুল ইসলাম। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় ধানমণ্ডির ওই বাড়িতেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারে বাধা থাকলেও ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সে বাধা কেটে যায়। এর পর ওই বছরের ০২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মামলা করেন মহিতুল।

 

মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। একজন পলাতক অবস্থায় বিদেশে মারা গেছেন, এখনও পলাতক দণ্ডিত পাঁচজন।

সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়