বৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভূমি ও কৃষি সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি

Paris
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৮:২৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ভূমি ও কৃষি সংস্কারে আশু, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে করণীয়সমূহ চিহ্নিত করে সরকারের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ভূমি, মানবাধিকার ও পরিবেশ নিয়ে কর্মরত ১১টি সংগঠন। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গুরুত্ব বিবেচনায় ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একজন উপদেষ্টা নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মৌলিক ভূমি ও কৃষি ব্যবস্থাপনা সংস্কারের জন্য অবিলম্বে আলাদা কমিশন নিয়োগের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, ব্লাস্টের পরিচালক অ্যাডভোকেট বরকত আলী, কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি উজ্জ্বল আজিম, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের আইনজীবী নাহিদ শামস, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রতিনিধি নিরালা মার্ডি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমানা শারমিন।

মূল বক্তব্যে বলা হয়, জিডিপিতে অবদানের ক্ষেত্রে সেবা ও শিল্প খাতের পর কৃষি (ফসল, মৎস, প্রাণিসম্পদ ও বন) তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত হলেও বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবন, জীবিকা ও কর্মসংস্থানের প্রশ্নে এর গুরুত্ব সর্বাধিক। দেশে কৃষি শ্রমশক্তির ৫৮ শতাংশই নারী এবং মোট নারী শ্রমশক্তির সিংহভাগই (৭৪%) কৃষিতে নিয়োজিত থাকার পরও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে ভূমি ও কৃষিতে তাদের অভিগম্যতা ও অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে কখনোই গুরুত্ব পায়নি। দেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর লোকেরা তাদের ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তার অধিকার সুরক্ষিত নয়।

আরো বলা হয়, প্রকৃত কৃষক যারা তাদের কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসলহানির শিকার হন, দেশি-বিদেশী বীজ, কীটনাশক, কৃষিসরঞ্জাম কম্পানির হাতে শোষিত হন এবং সর্বোপরি ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন তাদের সুরক্ষার বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে উপেক্ষিত। অন্যদিকে ভূমি বিরোধের বিচারের ক্ষেত্রেও তাদের বিপুল অর্থব্যয়সহ যে হয়রানী ও ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয় সেটির প্রতিকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষি ও ভূমিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব দিয়ে আশু সংস্কারের জন্য ১০ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- ভূমি ও কৃষির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি সংস্কার কমিশন গঠন, ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য সার্বক্ষণিক উপদেষ্টা নিয়োগ, ভূমি ও বনে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের প্রথাগত অধিকার ও নিজস্ব চাষাবাদের স্বীকৃতি, জুমচাষী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, সমতলের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কার্যকর করা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের বেহাত হওয়া জমি পুণরুদ্ধারে অবিলম্বে নির্দেশনা প্রদান, ভূমিহীন ব্যক্তিদের খাসজমি বন্দোবস্ত ও দখলীস্বত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহজ শর্তে কৃষি ঋণসহ কৃষি উপকরণ সহায়তা ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, ভূমিহীন-প্রান্তিক নারী কৃষককে খাসজমি বন্দোবস্তসহ কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি, কৃষিতে যুব ও তরুণদের উৎসাহিত করতে বিশেষ কর্মসূচি, প্রণোদনা ও তৎপরতা বাড়ানো, ভূমি ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সব অফিস ও কার্যক্রমে বিদ্যমান দুর্নীতি, হয়রানী ও ভোগান্তি দূর করার জন্য মনিটরিং ও জবাবদিহিতা জোরদার, দুর্নীতিগ্রস্ত ও দায়িত্বে অবহেলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত, সংখ্যালঘুদের ভূমি-নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তার সুরক্ষা দিতে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন, একটি স্থায়ী সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং জনমত ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন অবিলম্বে চূড়ান্ত করা।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়