সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণমানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষে নাকি ফ্যাসিবাদ, যিনি গণহত্যা চালিয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, স্বাধীনতা বিপন্ন করেছে তার পক্ষ নিবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশীদের কে হত্যা করা হচ্ছে। এটা শুধু আজকে হচ্ছে তা না দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত আছে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তা চাইবে এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশী যেসব নাগরিকদের হত্যা করা হয় তারা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যেই থাকে কোন প্রকার সতর্ক ছাড়া তাদেরকে নির্বিঘ্নে হত্যা করা হচ্ছে এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা বন্ধ করতে হবে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশের সীমান্তে এরকম বর্বরতা নাই। যেটা আমাদের সাথে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র যারা বন্ধু হিসাবে পরিচয় দেয় তারা এটা করছে।
তিনি বলেন, সীমাহীন লুটপাট, গণতন্ত্র হত্যা, নির্বিকারে মানুষ হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত এক দেড় বছর ধরে নয়, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীসহ যারাই অধিকার আদায়ের কথা বলেছে, তাদেরকে হয় গুম করেছে, তা না হলে হত্যা করেছে, মামলা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের (নেতাকর্মী) বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে এত টাকা সরিয়েছে, বিশ্বে অন্য কোন রাষ্ট্রে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নজির নাই। এই টাকাগুলো বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে এবং অন্য দেশে পাচার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গণমানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষে নাকি ফ্যাসিবাদ যিনি গণহত্যা চালিয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, স্বাধীনতা বিপন্ন করেছে তার পক্ষ নিবে।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রদান, কৃষক দলের নেতা সাদি, মোখতার আকন্দ প্রমুখ।
সূত্র: যুগান্তর