সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের কাছে বোয়িং বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বোয়িং কেনা-বেচার সঙ্গে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা বা ভিসানীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এটি নরমাল প্রসেস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা সবসময় তাদের দেশের জিনিস কেনার জন্য রীতিমতো পিড়াপিড়ি করেন। এটা তাদের দায়িত্বের অংশ। আমরা এটা নিয়ে রাগ করছি না। আপনি গ্রহণ করলে ভালো না করলেও সমস্যা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে না দাবি করে ড. মোমেন বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে না। এগুলো মিডিয়াতে চলছে। আপনারা ওদের ত্যক্ত করেন। আল্লার ওয়াস্তে ওদের ত্যক্ত করবেন না। এটা আমাদের খুব লজ্জা লাগে। বিদেশি একজন রাষ্ট্রদূত কোথাও গেলে তার প্রাইভেসি নষ্ট করেন। আমি এটা পছন্দ করি না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ছুটির প্রসঙ্গ টেনে ড. মোমেন বলেন, সেই ব্যটা ছুটিতে গেছে। সেখানেও আপনারা (গণমাধ্যম) বকবক করছেন। সে আমাদের বন্ধু। বন্ধু হলে ভালো-মন্দ বলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অমুক স্যাংশন হচ্ছে, তমুক স্যাংশন হচ্ছে, এগুলো আপনারা বলেন। ওরা আমাদের এসব বলে না। আমরা আরও শক্ত সম্পর্ক গড়তে চাই। আমরা একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। তারাও চায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। তার সঙ্গে তারা যুক্ত করেছে, সংঘাতহীন নির্বাচন। কিন্তু আমরা বলেছি, আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
মোমেন বলেন, আমরা মনে করি, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা খুব শক্ত। তারা বন্ধু বলেই আমাদের উপদেশ দেয়। তাই যেটা ভালো হয় সেটাই আমরা গ্রহণ করি। যেটা বাস্তব নয় সেটা আমরা গ্রহণ করি না। সেটার জন্য তারা রাগও করে না।
কোনো দল নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমেরিকায় অনেক বড় বড় দল নির্বাচনে আসে না। এটা কোনো বিষয় না।