বুধবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন নির্বাচন কমিশনের, পদত্যাগের আভাস

Paris
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪ ৯:০৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র লেখাসহ সব কাজ শেষ করে রেখেছে বলে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে জানতে চান সাংবাদিকরা।

তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, কালই পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।

বিবিসি বাংলা এ নিয়ে কয়েকজন নির্বাচন কমিশনারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে।

এর মধ্যে একজন নির্বাচন কমিশনার বিবিসি বাংলাকে, “আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন। এরপর আমাদেরকে আর চেয়ারে পাবেন না”।

তবে তিনি তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

গত এক দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্নের পর ২০২২ সালের পর সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে গঠিত হয় নতুন এই নির্বাচন কমিশন।

প্রশ্ন হচ্ছে এমন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সবাইকে কেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেবেন।

জবাবে নির্বাচন বিশ্লেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “তারা পদে বসে ভাল কোন নির্বাচন করতে পারেননি, উল্টো ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করেছে। যে কারণে সরকার পরিবর্তনের পর তারা পদে থাকতে চাচ্ছেন না”।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোষণা
গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরই কয়েক দফায় বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এসময় কমিশনাররা তাদের নিজেদের মধ্যে পদত্যাগের আলোচনাও করেন।

বুধবার দুপুরে সিইসি ও তিনজন নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সিইসি মি. আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

তবে, এদিন উপস্থিত ছিলেন না নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য বিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন।

তবে তার কারণ জানানো হয় জনসংযোগ শাখার পাঠানো ওই বার্তায়।

পরে বিকেলে একজন নির্বাচন কমিশনার তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমাদের কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি, আমরা নিজে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কাল সে বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে জানানো হবে”।

নির্বাচন কমিশনারদের দপ্তরের কর্মকর্তাদের দুই জন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সিইসি ও চারজন কমিশনার তাদের কার্যালয় ত্যাগ করতে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। লিখে রাখা হয়েছে পদত্যাগপত্রও।

কেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত?
গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরই কয়েক দফায় বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এসময় কমিশনাররা তাদের নিজেদের মধ্যে পদত্যাগের আলোচনাও করেন।

বুধবার দুপুরে সিইসি ও তিনজন নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সিইসি মি. আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

তবে, এদিন উপস্থিত ছিলেন না নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য বিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন।

তবে তার কারণ জানানো হয় জনসংযোগ শাখার পাঠানো ওই বার্তায়।

পরে বিকেলে একজন নির্বাচন কমিশনার তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমাদের কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি, আমরা নিজে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কাল সে বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে জানানো হবে”।

নির্বাচন কমিশনারদের দপ্তরের কর্মকর্তাদের দুই জন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সিইসি ও চারজন কমিশনার তাদের কার্যালয় ত্যাগ করতে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। লিখে রাখা হয়েছে পদত্যাগপত্রও।

নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে শতাধিক বিক্ষোভকারী।

এর আগে গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরদিনই নির্বাচন কমিশন ভবনে দুটি ব্যানার টানিয়ে রাখা হয়।

ছাত্র-জনতা ব্যানারে সেখানে অবিলম্বে কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্যান্য কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

বুধবার সকাল এগারোটার দিকে ভোটাধিকার বঞ্চিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে শতাধিক বিক্ষোভকারী এসে নির্বাচন কমিশন বিরোধী শ্লোগান দেন। তবে ম‚ল গেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ভেতরে ঢুকতে পারেনি বিক্ষোভকারীরা।

এসময় তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পাশাপাশি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম নুরুল হুদা ও রকিব উদ্দিন আহমেদের বিচার চাওয়া চান।

পদত্যাগ করলে কী সংকট তৈরি হবে?
২০২২ সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই কমিটির সুপারিশে ওই বছর ২৭শে ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন ইসি।

এ সময় দায়িত্ব নেয়ার পরই ওই বছরের ১২ই অক্টোবর গাইবান্ধার একটি আসেন উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির পর ওই নির্বাচন বাতিল করে কমিশন।

এরপর কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিরোধী রাজনৈতিক জোট বিএনপিসহ অন্যান্য দল। তবুও সে সব নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি অনিয়মের পরও কোন ব্যবস্থা নেয় নি কমিশন।

সবশেষ গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে অনেকগুলো দল আবেদন করে। শর্ত প‚রণ করার পরও চারটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেয়ার অভিযোগ ওঠে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

গত সাতই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দিন দেশে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার তথ্য জানানোর পর এই কমিশন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা তৈরি হয়।

গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গত এক মাসে তিনটি রাজনৈতিক দল- আমার বাংলাদেশ পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও নাগরিক ঐক্যকে নিবন্ধন দেয় কমিশন।

বিশ্লেষক অধ্যাপক আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “নির্বাচন কমিশন শপথ নেয় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে। তারা সেটি রক্ষা করতে পারেনি। যে কারণে সম্মান হারানোর ভয়েই হয়তো তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলছেন, যদি এখন তারা পদত্যাগ না করেন তাহলে শিগগিরই হয়তো তাদের “ইমপিস” করা হতে পারে। সেটি টের পেয়ে তারা আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশে সিইসি ও সব কমিশনারদের পদত্যাগের কোন নজীর নেই বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার তার পদ ছাড়লে এটি হবে দেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা।

এমন অবস্থায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি পদে কেউ না থাকলে কোন সংকট তৈরি হবে কী না সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জবাবে অধ্যাপক আহমেদ বলেন, “এই সময়ে ইসি সচিবালয় দায়িত্ব পালন করবে। পরে দ্রæতই নতুন করে কমিশনার নিয়োগ দেয়া হবে”।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়