সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়র হতে চলেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির এক গবেষণা অনুসারে, মাস্কের বর্তমান সম্পদ বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই তার সম্পদ এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বিশ্বে তিন হাজারের কিছু বেশি বিলিয়নিয়র থাকলেও এখন পর্যন্ত ট্রিলিয়নিয়রের খাতায় নাম লেখাতে পারেননি কেউ। তবে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সম্পদ যে গতিতে বাড়ছে, সেই তালিকায় নাম উঠতে খুব বেশি সময় লাগবে না তার। ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির এক গবেষণা বলছে, ইলন মাস্ক বিশাল সম্পদ বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যেই তিনি ট্রিলিয়নিয়র হতে পারেন। মার্কিন এই ধনকুবেরের বার্ষিক গড় সম্পদ বৃদ্ধির হার ১০৯.৮৮ শতাংশ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩৭ বিলিয়ন ডলার। টেসলা, স্পেসএক্স ও সামাজিক মাধ্যম এক্স-এর মতো কোম্পানির মালিকানা তাকে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
টেসলার বর্তমান বাজারমূল্য ৬৬৯.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগামী বছর ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইনফর্মা কানেক্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি, এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়ং ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী প্রাজোগো পাঙ্গেস্টুও ট্রিলিয়নিয়র ক্লাবে যোগ দেবেন।
এছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসী সামগ্রী কোম্পানি এলিভএমএইচ-এর চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়র হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইলন মাস্ক প্রথমবার ২০১২ সালে ফোর্বস বিলিয়নিয়র তালিকায় নাম লেখান। তখন তার সম্পদ ছিল ২ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসকে ছাড়িয়ে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেসলার শেয়ারমূল্য কমে যাওয়ার কারণে তিনি বার্নার্ড আর্নল্টের কাছে এই অবস্থান হারান। যদিও ছয় মাস পর আবারও তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন।
সূত্র: যুগান্তর