মঙ্গলবার , ১ নভেম্বর ২০২২ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর
NBIU Spiring 2025 New Ad

রাবিতে বিভাগ প্রধানের সঙ্গে শিক্ষকের অসদাচরণ, কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ

Paris
নভেম্বর ১, ২০২২ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গবেষণা প্রজেক্টের বিষয়ে সুপারিশ না করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতির সঙ্গে অসদাচরণ আচরণ ও কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে রাবি উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম। অভিযুক্ত শিক্ষক একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হক।

অভিযোগপত্রে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি বলেন, ‘‘ড. মো. হাকিমুল হক বেশ কিছুদিন ধরে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর আমার সাথেও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করে এবং আমাকে ‘শুয়োরের বাচ্ছা’ ও ‘পাগল’ বলে গালি দেয়। আজ (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক সোয়া ৯টায় সে সভাপতির কক্ষে তার একটি চিঠি স্বাক্ষর করার জন্য নিয়ে আসে। আমি তাকে পূর্বের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি। তা নাহলে আমি চিঠিতে স্বাক্ষর করব না। সে দুঃখ প্রকাশ না করে আমাকে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেবিল চাপড়িয়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙে চুরমার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি ইসমত আরা বেগম বলেন, ড. হাকিমুল হক অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করার পর সেখানেই অভিবাসী হতে চাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়া আসা করতে তার নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়ে যায়। তখন সে আমার অফিসে একটি ওয়ার্ড ফাইলে একটি ছুটির আবেদনপত্র পাঠায়। কিন্তু সেখানে তার স্বাক্ষর না থাকায় আমি ছুটি মঞ্জুর করিনি। তখন সে আমাকে অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করে। আজ সে একটি গবেষণা প্রজেক্টে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন নিয়ে আসে এবং আমার সুপারিশ চায়। তখন আমি তাকে পূর্বের আচরণের জন্য ‘সরি’ বলতে বলি এবং সাইন (স্বাক্ষর) দিতে অস্বীকৃতি জানাই। তখন সে এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে আমার টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ড. হাকিমুল হক বলেন, আমার একটি গবেষণা প্রজেক্ট সাবমিশনের শেষ সময় ছিল আগামীকাল (বুধবার)। আমি গতকাল (সোমবার) সারারাত জেগে প্রজেক্টটি প্রস্তুত করি। কিন্তু সকালে বিভাগের সভাপতির কাছে সুপারিশ নিতে গেলে তিনি পূর্বের কোনো ঘটনার জের ধরে আমার প্রজেক্টটি সাইন করেননি। এতে স্বাভাবিকভাবেই আমি রেগে যাই। তবে সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন গ্রহণ করেননি।

জি/আর

Spiring 2025 New Design

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর