নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ, পানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকালে রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি এই বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার বিকাল ৫টার দিকে নগরীর সাহেববাজার-জিরোপয়েন্টে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেছেন, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে সরকারের প্রতি জনগণ প্রতি আস্থা হারাবে। বার বার মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের আস্থা হারানো যাবে না। আস্থা ধরে রাখতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে ২০০৮ সালে দেশের মানুষ ১৪ দলের প্রতি আস্থা রেখে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনে। গণমুখি নানা কাজের কারণে সরকার এখনও ক্ষমতায় আছে। কিন্তু একটা বিশেষ শ্রেণিকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাই সরকারকে মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে।
সম্প্রতি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের নামে কোথাও কোথাও লুটপাট চলছে। এই লুটপাট ঠেকানো যাচ্ছে না। অথচ জনগণের ওপর বোঝা চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু বাজার মনিটরিং নেই। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রাজশাহীতে পাঁচ টাকার মাস্কের দাম ৭০ টাকা হয়েছে। এ নিয়েও জেলা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকম-লির সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, সাদরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, ফেরদৌস জামিল টুটুল, আবদুল মতিন, মনিরুজ্জামান মনির, মনির উদ্দিন পান্না প্রমুখ।
সমাবেশে নগর ওয়ার্কার্স পার্টি, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, নারী মুক্তি সংসদ ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স/অ