অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জলনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপিই প্রথম মানুষের অধিকার হরণ করা দল এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনিই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনাবিচারে হত্যা করেছেন। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে বিএনপি-জামায়াত। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, এখনও বিএনপি-জামায়াত গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ, যানবাহন ও সহায়-সম্পত্তিতে হামলা, গাড়ি পোড়ানোর কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, মানুষকে জিম্মি করার দেশবিরোধী অপতৎপরতা। সমস্ত শিল্পী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে, মানুষকে জাগাতে হবে। এরা যদি মানবাধিকার নিয়ে বিশৃঙ্খলা করে মানুষ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, আর বিশ্বমোড়লরা চেয়ে চেয়ে দেখলো। এমনকি ইসরায়েলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য বিশেষ বোমা দিয়ে তারা সহায়তাও করছে। তারাই আবার মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সঞ্চালনায় জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত চিত্রতারকা ও জোটের সহসভাপতি রোজিনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক লায়ন মুহা. মীযানুর রহমান, চিত্রতারকা সিমলা, সংবাদ পাঠিকা মুনা চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে তাদের বক্তৃতায় অগ্নিসন্ত্রাসী, তাদের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।