সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সেই হিন্দুদের রক্ষার বহমান প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আগে হিন্দুদের পূজার সময় কোনও মন্দির পাহারা দিতে হতো না, এখন দেখি এসব! কেন?
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুযালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কোনও মুসলমান হিন্দুদের মন্দির ভাঙতে পারে না— কোনও ধর্মে এমন নেই। এটি কে করেছে? যত ধরা পড়ছে সব আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ আর যুবলীগ। আমার এলাকায় যত হিন্দুদের জমি দখল করেছে, সব আওয়ামী লীগের নেতা।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘৫ আগস্ট এদেশ থেকে অসুর পালিয়ে গেছে। সত্যের জয় হয়েছে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি রেইনবো জাতি গঠন করতে চাই, এটি বিএনপির দর্শন ও চিন্তা থেকে এর প্রতিফলন। এটি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিন্তার প্রতিফলন, কোনও সন্দেহ নেই।’
‘ধর্মকে মূলধন করে অনেকে নেতা হয়ে যান, তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছেন, এমনকি যাদেরকে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন— তাদের নিয়ে কোনও ভাবনা নেই এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের মধ্যে।’ বলেন আমির খসরু।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিতে গোত্র ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সমান। এটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দল।’
বিএনপিসহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু অপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. সুব্রত বুড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, বিএনপি সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুশীল বড়ুয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট উপদেষ্টা তপন দে, মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূঁজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেবসহ বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি বক্তব্য রেখেছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন