সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে শুরুটা দুর্দান্ত করল বায়ার্ন মিউনিখ। দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নতুন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা। যেখানে একাই ৪ গোল দিয়েছেন হ্যারি কেইন। ইউরোপ সেরার আসরে দারুণ এক রেকর্ডও গড়ল বায়ার্ন। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ৯ গোল করার কীর্তি গড়ল তারা।
বায়ার্নের হয়ে এছাড়া ওলিসে করেন দুই গোল। বাকি তিন গোলদাতা রাফায়েল গেররেইরো, লেরয় সানে ও লেয়ন গোরেটস্কা।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে সতীর্থের পাস ধরে কোনাকুনি শটে জালে বল পাঠান সের্গে জিনাব্রি; কিন্তু বাজে অফসাইডের বাঁশি। তবে, ওই আক্রমণের শুরুতেই আলেকসান্দার পাভলোভিচ ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পরে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এবার আর কোনো হতাশা নয়। নিখুঁত স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন বায়ার্নের জার্সিতে গোলের পর গোল করে চলা কেইন।
অবশ্য ১০ মিনিটের মধ্যেই গেররেইরোর ওই হতাশা দূর হয়ে যায়। অসাধারণ নৈপুণ্যে গোলটিতে অবদান রাখেন জামাল মুসিয়ালা। বাঁ দিক থেকে আসা সতীর্থের ক্রস বুক দিয়ে দারুণ ভঙ্গিমায় পাশেই গেররেইরোকে খুঁজে তরুণ জার্মান ফরোয়ার্ড, আর নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
৩৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বায়ার্ন। সতীর্থের ছোট করে কর্নারের পর, বল ধরে ছয় গজ বক্সের মুখে ক্রস বাড়ান জসুয়া কিমিখ, আর দারুণ হেডে গোলটি করেন ফরাসি মিডফিল্ডার ওলিসে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে লক্ষ্যে দুটি শট নিয়ে দুটিই জালে জড়ায় দিনামো। চোট পাওয়ায় এই অর্ধে আর মাঠে নামেননি বায়ার্নের মূল গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার, তার বদলি নেমে সভেন উলরিখের শুরুটা হয় ভীষণ বাজে।
৪৮তম মিনিটে মার্কোর পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দলের প্রথম গোলটি করেন ব্রুনো পেতকোভিচ। দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান আরও কমায় ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবটি। ইয়োসিপ মিসিচের দারুণ থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান জাপানের ডিফেন্ডার তাকুইয়া ওগিওয়ারা।
মুহূর্তের ব্যবধানে জোড়া গোল খেয়ে যেন আরও তেতে ওঠে বায়ার্ন। ৫৭তম মিনিটে কিমিখের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন গোলরক্ষক; কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনেই ছিলেন কেইন, আলগা বল পেয়ে সহজেই জালে পাঠান তিনি।
খেলার ৬১তম মিনিটেই অবশ্য ফের তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। গোলটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে কেইনেরও। সতীর্থের পাস পেয়ে দুই প্রতিপক্ষের মাঝে দুর্দান্ত এক ছোঁয়ায় বক্সে মুসিয়ালাকে খুঁজে নেন তিনি। গোলরক্ষক দ্রুত এগিয়ে আসায় মুসিয়ালা শট না নিয়ে পাশে বল বাড়ান, আর বিনা বাধায় গোলটি করেন ওলিসে।
পরের পাঁচ মিনিটে আরও দুটি সুযোগ হারানোর পর ৭৩তম মিনিটে আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কেইন। ডি-বক্সে দিনামোর মিডফিল্ডার মিসিচের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টিটি পায় বায়ার্ন।
৭৭তম মিনিটে দিনামোর বক্সে আলফুঁস ডেভিস ফাউলের শিকার হলে তৃতীয় পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। কোনো ভুল করেননি কেইন। আগেরবারের মতো বাঁ পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে হোলস্টেন কিলের জালে হ্যাটট্রিক করা ইংলিশ তারকার চলতি মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে ছয় ম্যাচে গোল হলো আটটি।
বাকি সময়ে স্কোরলাইনে নাম লেখান তাদের দুই বদলি খেলোয়াড় সানে ও গোরেটস্কা। ৮৫তম মিনিটে সানে দূর থেকে গোল করার পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হেডে জালে বল জড়ান গোরেটস্কা।