বাঘা প্রতিনিধি :
বাল্য বিয়ে। যেন বাবা মায়ের কাছে তাদের মেয়ে সন্তানটি অনেক বড় বোঁঝা হয়ে যায়। কোন মতে বিদায় করতে পারলেই বিপদ মুক্ত। সেই জন্য বিয়ের বয়স হতে না হতেই তাদের বিয়ে দিয়ে সংসারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যে মেয়েটি স্কুলের ব্যাগ সামলাতেই হিমসিম খেতে হয় তাকে সামলাতে হবে সংসাদের বোঝা। তাতে কোন রকম সমস্যা হলে মারধর তো আছেই। এ ভাবেই চলে যাবে বছর খানেক। তার পরে সেই ১৩ থেকে ১৪ বছরের সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণির শিশুটি মা হবেন। যেন শিশুর মা শিশু হয়েছে।
আর এর মধ্যে যারা বিভিন্ন ভাবে প্রশাসন বা এলাকাবাসির সহযোগিতায় বাল্য বিয়ে থেকে বেঁচে যান তারা হয় তো বা নিজেকে শিক্ষার আলোয় মেলে ধরতে সুযোগ পান।
বলছিলাম রাজশাহীর বাঘার কথা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৪টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। বিয়ে ৪টির প্রস্তুতিকালে কনে, কনের বাবা ও আত্মীয়সহ ৯ জনকে আটক হয়।
পরে তারা পুলিশের কাছে কনের বয়স কম থাকায় মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রোববার উপজেলার খায়ের হাটের জোতজয়রাম গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে ও সরেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩), একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও সরেরহাট গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে (১৪), শুক্রবার উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের বাবু প্রামানিকের মেয়ে আড়ানী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের আকরাম কসাই এর মেয়ে স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) এর পৃথকভাবে নিজ নিজ বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
এসময় এলাকার লোকজন প্রশাসনকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কনে, কনের বাবা ও আত্মীয়সহ ৯ জনকে আটক করে নিয়ে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, তাদের যতদিন বিয়ের বয়স না হবে, ততদিন বিয়ে দিতে পারবেনা এই মর্মে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন।
স/আ