বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় গরু চুরি করে পালাতে পারলো না চোর। জনতার তাড়া খেয়ে ধরা পড়লো এক চোর। ওই চোরের নাম সুমন হোসেন (২২)। সে নওগাঁর সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের তসলিম হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সুমন হোসেন হামিরকুৎসা ইউনিয়নের মাঝগ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতের খাবার খেয়ে তিনি একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোনো এক সময়ে প্রতিবেশি আফরোজা বেগমের গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু চুরি করেন। পরে গরুটি পাশের খামারগ্রামে নির্জন এক জায়গাতে রেখে আসেন। মঙ্গলবার সকালে যথারীতি ঘুম থেকে উঠে সুমন হোসেন আত্মীয়র বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান।
সকালে গরুর মালিক গোয়ালঘর থেকে গরু বের করার সময় সেখানে থাকা গরু দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে গরু উদ্ধারের অনুরোধ জানান। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টা যোগিপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে জানান। খবর পেয়ে তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ গরু উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি উপজেলার এলাকা ভটখালীতে অবস্থান নেয়। সেখানে একটি ভটভটিতে গরু দেখতে পেয়ে তা থামান। পুলিশ গরু সর্ম্পকে ভটভটিতে থাকা তরুণ সুমন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি গরুটি চুরির করার কথা স্বীকার করলে লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ভটভটিসহ তাঁকে আটক করে।
সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আফরোজা বেগম গরীব মহিলা। গরু পালন করে কোনো রকম সংসার চালান।
আফরোজা বেগম বলেন, গরুটিই তাঁর সম্বল। পোশাক কারখানায় কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে গরুটি কিনেছিলেন।
যোগিপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক গোলাম কিবরীয়া বলেন, সুমন হোসেন একজন চোর। গরুটি চুরি করে বিক্রির জন্য আহসানগঞ্জ হাটে নিয়ে যাচ্ছিল। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। গরুটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এস/আই