আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, মোহাম্মদ নওয়াব আলী ও জিএম মুজাহিদুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাগমারার ভবানিগঞ্জে রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিপির ওপর বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক কে এম শহীদ আহমেদ তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পরে বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর আসামি আপিল করেন। শুনানি শেষে ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিল খারিজ এবং মৃত্যুদণ্ডের রায় সংশোধন করে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।