সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের অর্ন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় ফেরায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের তাগিদ থাকবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলেন, গত ২ সপ্তাহে আমরা দেখেছি যে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা চাচ্ছিল। সেই কারণে আমার মনে হয় রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পার্টির একটা তাগিদ থাকবে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে।
বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আরও বলেন, ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চেষ্টা করবে। এই কারণে হয়তো আমরা যে উৎসাহটা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের ব্যাপারে সেটা হয়তো ভাটা পড়বে বা অতটা উৎসাহ থাকবে না। তার (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দিক থেকে চায়না, ভারত ও রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলোর বিষয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেই জায়গায় হয়তো বাংলাদেশ যে অ্যাটেনশনটা চেয়েছিল সেটা নাও পেতে পারে। তাই আমাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি মনে করি যে তারা হয়তো তাড়াতাড়ি রোডম্যাপ দেখতে চাইবে বা কবে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার হতে যাচ্ছে জানতে চাইবে।
ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক জোরদার হবে এমনটি জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে ডেমোর্ক্যাটিক পার্টিতে যথেষ্ট সমালোচনা ছিল। আমি মনে করি, ট্রাম্প সেই বিষয়টা সামনে আনবে না বরং চেষ্টা থাকবে একটা অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে। এখন অপেক্ষা করতে হবে যে এটা (ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন) হলে তার কী প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের ওপর পড়বে।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, যেহেতু সে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) ইউক্রেনের যুদ্ধের ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট ছিল এবং থামানোর ব্যাপার বারবার বলেছে সে থাকলে যুদ্ধ হতো না সেই জায়গায় একটা বড় পরিবর্তন আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আমার মনে হয় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর