সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গাইবান্ধার সাঘাটার ভরতখালীতে সোনাইল বাঁধ ভেঙে ২০টি গ্রাম নতুনভাবে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে সাঘাটা উপজেলার বাঁশহাটা গ্রামের নুরুন্নবী মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
এ ছাড়া ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘাঘট নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৬ সে. মি. ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২০ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮০ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি ১৩ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিকটে এসে গেছে।
পানি উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। এর আগে বুধবার রাতে পাউবোর পক্ষ থেকে বাঁধ ঝুঁকিতে থাকার বিষয়ে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলার পর শহর জুড়ে আতংক বিরাজ করছিল।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন বলেন, গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুঠিপাড়া ও ডেভিড কোম্পানিপাড়ার আটটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বাঁধ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে। পাউবো বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি হাট, ফুলছড়ি এবং সাঘাটার ভরতখালির হাট তিনটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাটের ওপর দিয়ে এখন নৌকা চলছে। বৃহত্তর ওই হাট তিনটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।
ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ২০টি পয়েন্টে সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
অপরদিকে বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭১২ হেক্টর জমির শাকসবজি, আমন বীজতলা ও ধান খেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ৬৬৭ হেক্টর অন্যান্য ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
সূত্র: রাইজিংবিডি