সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বর্ষবরণে যৌনহয়রানি মামলাটির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার দাখিল না হওয়ায় আগামী ২৮আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেছেন।
এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নিয়েছে পিবিআই। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত , ২০১৫ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির এই মামলায় আট আসামিকে শনাক্ত করেছিল পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনও গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে শনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল গ্রেপ্তার হলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। আটককৃত কামাল কারাগারে রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। যৌন হয়রানির শিকার কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে।
তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আটজনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত আট আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
আসামিদের গ্রেপ্তার এবং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ আশপাশের এলাকায় পর্যন্ত ভিড় ছিল। এই ভিড়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ একদল নারী লাঞ্ছনাকারী ঘটনাস্থলে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। নারী লাঞ্ছনাকারীরা ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়।
সূত্র: রাইজিংবিডি