সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
এক সময় ধারণা করা হত হার্ট অ্যাটাক শুধুমাত্র বয়স্কদের হয়। কিন্তু বর্তমানে এ ধারণা বদলে গেছে। অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণরা। এমনকি ৩০ বছরের আশপাশের বয়সীদের আজকাল প্রায়ই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
সাধারণত অল্প বয়সে যেকোনো বুকের ব্যথাকেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করে অবহেলা করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই। অল্প বয়সেই বুকে ব্যাথা হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
এছাড়া তুলনামূলক অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এবং এর ঝুঁকিগুলো কী—এসব বিষয়ে ধারণা রাখা উচিত।
৩০ বছরে হার্ট অ্যাটাকের কারণ
অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কতগুলো স্পষ্ট কারণ রয়েছে। বর্তমান জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কম ঘুম ইত্যাদি কারণে তরুণদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া আরও কিছু জটিলতা আছে, যেগুলো কারও ভেতর থাকলে তিনি সহজেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। যেমন—
১. হৃদরোগ অনেক সময় বংশগত ও হতে পারে। পরিবারের কোন সদস্যের কিংবা আত্মীয়স্বজনের হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব ইতিহাস থাকলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
২. ডায়াবেটিস থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে বয়স কম বা বেশি, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ডায়াবেটিস থাকলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে দুই থেকে চার গুণ বেশি বেড়ে যায়।
৩. বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ তরুণই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ও স্থূলতা নানা রকম স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি করে, যা একপর্যায়ে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৪. যেকোনো ধরনের হৃদ্রোগের অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তরুণদের ভেতর উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও বাড়ছে।
৫. বর্তমান তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। আর ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ভ্যাপ কিংবা ই-সিগারেটের ভেতর থাকা নিকোটিন ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ হৃদ্ গতিকে বাড়িয়ে দেয় এবং উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
৬. বর্তমান সময়ের তরুণদের ভেতর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেশি দেখা যায়। খাবারে অনিয়ম, ঠিকমতো না ঘুমানো, টানা পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, হতাশা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি কারণে অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।