সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
রোববার বিসিআইসি মিলনায়তনে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বাঙালি জাতির সেবা ও উন্নয়নের জন্য মহান আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। গোটা পৃথিবী যখন অর্থনৈতিক মন্দার শিকার, তখন বাংলাদেশে ৬ শতাংশেরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।’
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কনফেডারেশন তৈরি করা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূলনীতি ছেঁটে ফেলা, গোলাম আজমকে রাজনীতির সুযোগ দেওয়া, বেতারের নাম বদলিয়ে রেডিও বাংলাদেশ করাসহ ষড়যন্ত্রকারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতক চক্র এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে জনগণের মন থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার কালজয়ী আদর্শ ও নেতৃত্বের জন্য ১৬ কোটি মানুষের ঘরে ঘরে বেঁচে রয়েছেন।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন শিল্পমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি সোচ্চার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না।
উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উদ্ভব হয়েছে। যে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান সে চার মূলনীতিকে সংবিধান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে ছড়িয়েছিল। এর ফলে দেশে উগ্র জঙ্গিবাদ উত্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সভাপতি লায়ন হামিদুল আলম সখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ইউসুফ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি লিয়াকত সিকদার, জনতা ব্যাংকের প্রাক্তন পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সদস্য সচিব মো. শাব্বির আহমেদ শিমুল উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: রাইজিংবিডি