রবিবার , ২৮ জুলাই ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বগুড়া পৌর মেয়র আত্মগোপনে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা

Paris
জুলাই ২৮, ২০২৪ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার পৌরসভার মেয়র এবং ছয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। বিশেষ করে মেয়র ও প্যানেল মেয়র আত্মগোপনে থাকায় পৌরসভার আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আর্থিক লেনদেনের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে দায়িত্ব না দিলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা, ঠিকাদারি বিল এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহতসহ সকল কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এমনটাই দাবী পৌর কর্মচারী ও ঠিকাদারদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই বগুড়া শহরের সাতমাথায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই সময় আ.লীগের দলীয় কার্যালয়, আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ রণির কার্যালয় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরফলে বগুড়া জেলা আ. লীগের সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজা বাদী হয়ে গত সোমবার বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন।

হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার একাধিক মামলায় বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ (বাদশা) বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছয় কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। পৌরসভার ছয় কাউন্সিলর হলেন, এরশাদুল বারী এরশাদ (৮ নম্বর ওয়ার্ড), পরিমল চন্দ্র দাস (৬ নম্বর ওয়ার্ড), সিপার আল বখতিয়ার (১১ নম্বর ওয়ার্ড), এনামুল হক সুমন (১২ নম্বর ওয়ার্ড), রুস্তম আলী (২০ নম্বর ওয়ার্ড) এবং সংরক্ষিত (১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর শিরিন আকতার। তাঁদের মধ্যে এরশাদুল বারী ও শিরিন আকতার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিমল চন্দ্র দাস জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বগুড়া শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের দুই দফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সিপার আল বখতিয়ার (বর্তমানে বহিষ্কৃত)। অন্যদিকে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন এনামুল হক সুমন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন রুস্তম আলী। গ্রেফতার এড়াতে বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন তারা। এতে পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, এ মামলার অন্যতম আসামি বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন রয়েছেন তিনি। ওই মামলার এজাহারে ৩ ও ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে বগুড়া পৌরসভার এরশাদুল বারী এরশাদ ও পরিমল চন্দ্র দাসকে। এ ছাড়া মামলার ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে নারী কাউন্সিলর শিরিন আকতারকে। এসব মামলার পর থেকে মেয়রসহ ওই ছয় কাউন্সিলর পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে পৌরসভার মেয়র আত্ম গোপনে থাকায় পৌরসভার আর্থিক লেনদেন হচ্ছেনা। আর্থিক লেনদেন না হওয়ায় কর্মচারিরা চলতি মাসের বেতন ভাতা, ঠিকাদারেরা কাজ শেষে বিল উত্তোলন নিয়েও শংকার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া বিধি অনুযায়ী সংকটকালীল পরবর্তী প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখকেও আর্থিক লেনদেনের জন্য ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এ কারনেও নানাবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বগুড়া পৌরসভা।

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ জানান, মেয়র পৌরসভায় না আসতে পারায় আর্থিক লেনদেন নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২/৩ আগস্ট পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ভাতা দেওয়ার কথা আছে। তিনি পৌরসভায় আসতে না পারলে বেতন ভাতা ও ঠিকাদারী বিল দেওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়াও আর্থিক লেনদেন করতে না পারলে পৌর সভার উন্নয়ন কর্মকান্ড বিঘ্নিত হবে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক(ডিডিএলজি) মো. মাসুম আলী বেগ জানান, পৌরবিধি অনুযায়ী মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র-১, তিনি না থাকলে পরবর্তী জনপ্রতিনিধি এই দায়িত্ব পান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মন্ত্রনালয়ে বিষয়টি তুলে ধরে চিঠি দেওয়া হবে। চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি আসবে। ওই চিঠিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পস্ট করে পরবর্তী প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর