এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোছা. মুক্তা (৩৫), শিবগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিহারা এলাকার মো. হামিম (১২), কাহালু উপজেলার মো. মেফতাজুল (৫)। ওই দুই শিশু জামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের ধসে পড়া সীমানা প্রাচীরটি কয়েক মাস ধরে হেলে ছিল। এর পাশে মাদ্রাসার রান্নাঘর। সেখানে ছোট একটি পকেট গেট আছে। এ পথে মাদ্রাসার স্টাফ ও নারী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের জন্য রান্নার কাজ চলছিল। আর প্রহরী আয়নুল পকেট গেটের পাশে ছিলেন। এমন সময় বিকট শব্দ শুনে সেখানকার বাবুর্চিসহ কয়েকজন ছুটে গিয়ে দেখেন দেয়াল ধসে পড়েছে। পরে কাছে গেলে আয়নুলকে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখেন। এতে এক শিক্ষার্থীর মা ও দুজন আহত হয়।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বনানী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুল হক জানান, আয়নুল মাস খানেক হলো মাদ্রাসায় চাকরি শুরু করেন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।