সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হয় শিশুরা। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে শিশুদের উপস্থিতিও। শিশু চত্বর মঞ্চে সিসিমপুরের ইকরি, হালুম, শিকু ও টুকটুকিদের পরিবেশনা উপভোগ করে শিশুরা।
এ সময় উচ্ছ্বসিত শিশুরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের ছাপ। হালুম, টুকটুকি, ইকরি আর শিকুকে সামনে থেকে দেখে তারা যেন নিজেদের অন্য এক জগতে আবিষ্কার করছিল। শিশুপ্রহরে গানে গানে শিশুরা কীভাবে নিরাপদে খেলাধুলা করবে সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
অভিভাবকরা বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর আয়োজন শিশুপ্রহর। উপভোগের পাশাপাশি অন্য শিশুদের সঙ্গেও খেলাধুলার সুযোগ পাওয়া যায় এ সময়। শিশুপ্রহর ছাড়াও বইয়ের স্টলগুলোয় ছিল কচিকাঁচাদের সরব উপস্থিতি।
শিশুপ্রহর নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, হালুম, টুকটুকি, ইকরি আর শিকুর নাচ, গান মুগ্ধ করে সোনামণিদের। টিভির চরিত্রগুলো বাস্তবে ধরা দেওয়ায় আনন্দে মেতে ওঠে তারা।
শুধু খেলাধুলাই নয়, ক্ষুদে পাঠকদের সঙ্গে কথাও বলেছে সিসিমপুরের চরিত্ররা। শিশু চত্বরে সিসিমপুর পর্বে থাকছে ছবি আঁকার পর্বও।