সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ছেলে প্রায়ই মনমরা হয়ে থাকছে। কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিচ্ছে না। অবশেষে অভিভাবকেরা দেখলেন, ছেলের হাতে আঁকা তিমির ছবি। এরপর বাবা-মা চেপে ধরলে বারুইপুরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র স্বীকার করে নেয়, দু’মাস ধরে ব্লু হোয়েল গেম খেলছিল সে। অভিভাবকেরা পুলিশে খবর দেন। যে ট্যাবে গেম খেলা হচ্ছিল, পুলিশ সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, দু’মাস আগে তার ট্যাবে একটি লিঙ্ক এসেছিল। ওই লিঙ্ক পাওয়ার পর কৌতূহলবশত খেলা শুরু করেছিল সে। পৌঁছে গিয়েছিল খেলার ১৪ নম্বর ধাপ পর্যন্ত। এরপরই তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, সুচ ফুটিয়ে হাতে আঁকা তিমি মাছ ব্লেডের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সে। নির্দেশমতো শুক্রবার রাতে নিজের হাতে নীল তিমি আঁকে ওই পড়ুয়া। কিন্তু তা আর লুকিয়ে রাখতে পারেনি। অভিভাবকেরা দেখে ফেলায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র গোটা বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।
এরপর আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবা-মা। পুলিশ ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে। তার ট্যাবটি বাজেয়াপ্ত করে নেয়। ওই পড়ুয়ার যাতে কাউন্সেলিং করানো হয়, তার বাবা-মাকে সেই পরামর্শই দিয়েছে পুলিশ। ওই খেলার বিভিন্ন ধাপে তাকে ভয় দেখানো হতো বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে ওই পড়ুয়া। খেলা ছেড়ে দিলে বাবা এবং ঘনিষ্ঠদের ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হতো।
অভিভাবকেরা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছেলে অস্বাভাবিক আচরণ করত। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়, পড়শিদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল। ছেলের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে এর কারণ জানতে চেয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
নীল তিমির গ্রাস থেকে অবশেষে ছেলে বেরিয়ে আসায় খুশি অভিভাবকেরা। এবার শুরু হবে কাউন্সেলিং।