কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা আসছে দেশে। আগামী রোববার (৩০ মে) ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
ডা. শামসুল হক বলেন, কোভ্যাক্স এর পক্ষ থেকে আগামী রোববার (৩০ মে) রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফাইজারের টিকাগুলো দেশে পৌঁছবে।তবে কাদের এবং কবে থেকে এই টিকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১৯ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ২ জুন গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের অন্তত এক লাখ ৬ হাজার টিকা বাংলাদেশে পাঠাবে।
এদিকে দেশের চতুর্থ টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের টিকা। বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে গত ২৪ মে স্টিকার ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন দেওয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সিএমসি পার্ট রেগুলারিটি স্ট্যাটাস) পর্যবেক্ষণ করে ২৫ মে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্য নির্ধারণ কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৭ মে টিকার অনুমোদন প্রদান করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করে। এই টিকা ১২ বছরের উপরের বয়সীদের ব্যবহারের উপযোগী এটি সংরক্ষণ করতে হিমাঙ্কের নিচে ৬০ থেকে ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। তবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫ দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।
দেশের করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ নিয়ে চারটি টিকা ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন প্রদান করেছে। প্রথমেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে জরুরি ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার উৎপাদিত টিকা ‘স্পুটনিক’-এর অনুমোদন দেওয়া হয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তারপরেই অনুমোদন দেয় চীনের সিনোফার্মের টিকা।
সূত্র:যুগান্তর